fbpx

অজিদের রোমাঞ্চকর জয়!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জিততে হলে ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ১৮ রান। বল হাতে তিন ওভারে মাত্র ১১ রান দেওয়া আনরিক নরকিয়া। গ্যালারিতে বসে চিন্তিত গ্রায়েম স্মিথ, অপরদিকে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও ফিল্ডিং সাজিয়ে নিতে বেশ ব্যস্ত। শেষ ১২ বলে সাউথ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে যোগ করেছিল ১৭ রান। দুই অজি ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিস-ম্যাথু ওয়েড মিলে তুলতে পারবেন তো?

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে সাউথ আফ্রিকা। ২৩ রানেই নেই তিন উইকেট। দারুণ শুরুর পরেও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। জস হ্যাজলউডের দুর্দান্ত আউটসুইংয়ে পরাস্ত রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, অজি পেসারকে স্কুপ করতে গিয়ে ফিরেছেন কুইন্টন ডি ককও। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া সাউথ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১৮ রান তুলতে পেরেছে এইডেন মার্করামের ৪০ রান এবং শেষ দিকে কাগিসো রাবাদার অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন জস হ্যাজলউড, অ্যাডাম জাম্পা এবং মিচেল স্টার্ক।

অজিদের রোমাঞ্চকর জয়!

বল হাতে দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়া।

১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছে সাউথ আফ্রিকান বোলাররাও। কোনো রান না করেই অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ফিরিয়েছেন আনরিক নরকিয়া; আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ফিরেছেন কাগিসো রাবাদাকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে। ২০ রানেই দুই উইকেট হারানো অজিরা স্টিভ স্মিথ-মিচেল মার্শের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কেশব মহারাজের বলে ডিপ মিড উইকেটে ডুসেনকে ক্যাচ দিয়ে ১১ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন মার্শও।

অজিদের রোমাঞ্চকর জয়!

৩৫ রানের ইনিংস খেলে গড়েছেন প্রতিরোধ।

একটা সময়ে জেগেছিল হারার শঙ্কাও। কিন্তু স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলের ৪২ রানের জুটিতে ভর করে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে অজিরা। ১৫তম ওভারে নরকিয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন স্মিথ, তখন তার নামের পাশে ৩৪ বলে ৩৫ রান! পরের ওভারেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাবারিজ শামসির ৫০তম শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে ম্যাক্সওয়েলও। নতুন দুই ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টয়নিস-ম্যাথু ওয়েড ব্যাটিংয়ে, ২৪ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৬!

শেষ দুই ওভারে আঠারো রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নরকিয়ার ওভারটাতে এসেছে ১০ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন আট। প্রিটোরিয়াসের প্রথম বলেই স্টয়নিসের দুই, পরের বলেই চার। ম্যাচ জয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। চতুর্থ বলেই স্টয়নিসের চার, অজিদের জয় ৫ উইকেটে। ১৬ বলে ২৪* রানে অপরাজিত ছিলেন স্টয়নিস, ওয়েড করেছেন ১৫*। ২১ রানে দুইটি উইকেট নিয়েছেন নরকিয়া।

Advertisement
Share.

Leave A Reply