গত কয়েকবছরে অনলাইন বিজনেস, নতুন ব্যবসায়ীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হোক আর কেউ শখের বসেই হোক, যারা কিছু নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন, তারা বেশিরভাগই হতে পেরেছেন সফল উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, শুরুটাই খুব চ্যালেঞ্জিং। জেনে বুঝে, গুছিয়ে, প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করতে পারলে, পরবর্তী ধাপগুলো আরও সহজ হয়ে যায়। প্রস্তুতি ছাড়া, না বুঝে ব্যবসায় নেমে অনেককেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। প্রতিপদে ঠকার পাশাপাশি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে পুঁজি হারানোর।
অনলাইন ব্যবসা শুরু আগে কিছু সাধারণ বিষয় অনুসরণ করার কথা জানিয়েছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
১. ব্যবসায় নামার আগে সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তর জ্ঞান থাকতে হবে,
২. বাজার, ক্রেতা এবং ক্রেতার চাহিদা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে সম্যক খোঁজ-খবর রাখতে হবে।
৩. ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজটি পরিচ্ছন্ন, গুছানো ও তথ্য সমৃদ্ধ হতে হবে।
৪. ক্রেতা সরাসরি পণ্য দেখতে পারছেন না, তাই পণ্যের প্রকৃত ছবির সাথে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে হবে,
৫. পণ্যের শতভাগ মান নিশ্চিত করা,
৬. ধৈর্য সহকারে সময় নিয়ে ক্রেতার সাথে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্ক তৈরি করা,
৭. ক্রেতাকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং সহজ নিয়মে অর্ডার সম্পন্ন করার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে,
৮. হ্যাকার এবং অনলাইন ফ্রডদের এড়াতে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
৯. ওয়েবসাইটে নিয়মিত সক্রিয় থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে,
১০. কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং প্রমোশন স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করা,
১১. নির্ভরযোগ্য ও কুইক রেসপন্স কুরিয়ারের মাধ্যমে পণ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা,
১২. পণ্য পরিবর্তন এবং রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে ক্রেতাকে আগে থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য পছন্দ না হলে ফেরত দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।
আমাদের দেশে ই-কমার্স বিপুল সম্ভাবনাময় খাত। এটি নিশ্চিত যে ব্যবসার পুরোটা সময় জুড়েই উদ্যোক্তাকে মোকাবেলা করতে হয় নানারকম চ্যালেঞ্জ। ধৈর্য, সচ্ছতা, সময়মত পন্য সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন বড় ব্যবসায়ী। বিশ্ব বাজারে যার বড় উদাহরণ চীন ভিত্তিক আলীবাবা।