চট্টগ্রামের পর দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলা। একটু যেন অবহেলা ছিল এ বন্দরের দিকে। চট্টলার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে মোংলা। এবার সে চিত্র বদলাচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে বন্দর চ্যানেলের ইনারবারে ড্রেজিং শুরু হচ্ছে আজ শনিবার (১৩ মার্চ)। পুরো প্রকল্পটি হচ্ছে ‘মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং’। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৭৯৪ কোটি টাকা। জয়মণির ঘোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার ইনারবার ড্রেজিংয়ের কাজ আজ উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সূত্র আরও জানায়, ইনারবারের এ ড্রেজিং শেষ হলে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া পর্যন্ত ১৪৫ কিলোমিটার চ্যানেল দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৯ মিটার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে চলতে পারবে।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের সমুদ্রবন্দর হবে মোংলা। আগামীতে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বেশি প্রবাহ ঘটবে এ সমুদ্র বন্দর ঘিরে। এজন্যই চলছে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ। অনেকে মনে করছেন, পদ্মা সেতুর কারণে মোংলা বন্দর মূলত চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প হয়ে উঠবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে যেসব কনটেইনারবাহী জাহাজ আসে, সেগুলো পূর্ণ লোডের জন্য দরকার সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের। কিন্তু মোংলার বর্তমান গভীরতা ৭ মিটার। তাই নাব্য সংকটের কারণে অনেক জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়ত না। ইনারবার ড্রেজিং সম্পন্ন হলে এ সংকট কেটে যাবে। দেশের অর্থনীতিতে অনিবার্যতা দেখাবে তখন মোংলা। আগামীর সমৃদ্ধ অর্থনীতি ডানা মেলতে যাচ্ছে এ বন্দরকে ঘিরেই।