fbpx

আজ থেকে শুরু সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও টেকসই মৎস্য আহরণে আজ শনিবার(২০ মে ) থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সামুদ্রিক জল সীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

সাগর থেকে জাল গুটিয়ে ক্ষোভ আর হতাশা নিয়ে তীরে ফিরতে শুরু করেছে জেলেরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৪ সাল থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

সুন্দরবন অঞ্চলে জুন, জুলাই, আগস্ট এই তিন মাস মাছ ধরাসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ের সাথে সমন্বয় করে এ অঞ্চলে অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

অর্থাৎ সুন্দরবন অঞ্চলে ২০ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকছে। বন অধিদপ্তর এ অঞ্চলে ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।

সচিবালয়ে গত ১১ মে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী বলেন, বলেন ‌সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা। এ সময় সব বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রাখা হবে।

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার ৬৫ দিনে নিবন্ধিত প্রতি জেলে পাবেন ৮৬ কেজি করে চাল। ইতিমধ্যেই বরাদ্দের চাল প্রতি জেলায় পৌঁছেছে।

কিন্তু জেলেরা বলছেন ৬৫ দিনে মত্র ৮৬ কেজি চালে একটা জেলে পরিবার চলতে পারে না। তারা অভিযোগ করেন অনেকে জেলে হয়েও এই সহায়তা পায় না। তারা জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে জেলেদের বরাদ্দের চালের সুষ্ঠ বন্টনের দাবি জানিয়েছেন।

এসময় যাতে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে থাকবে জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply