আজ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব ওজোন দিবস’। প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনে ওজোন স্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরি করতে আন্তর্জাতিকভাবে ওজোন দিবস পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোন স্তর রক্ষা করি-নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ওজোন স্তরের সুরক্ষায় সিএফসি গ্যাসনির্ভর শীতলীকরণ যন্ত্রের ব্যবহার কমাতে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। তিনি বলেন, ওজোন স্তর রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নজনিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও মন্ট্রিল প্রটোকল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বিশেষ করে, খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধসামগ্রী সংরক্ষণে ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, হিমায়ন যন্ত্রে উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। এছাড়া, করোনা মহামারি মোকাবেলায় প্রতিষেধক সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির হিমায়ন যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওজোন স্তর সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, সূর্য থেকে নিঃসরিত অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে মানবদেহে চর্ম-ক্যান্সার, চোখের ছানিসহ অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদ, শষ্য ও বাস্তুসংস্থানকে নানান বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে সুরক্ষা দেয় ওজোন স্তর। তাই, ব্যাপকহারে জনসচেতনতা সৃষ্টি, বনায়ন, বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ সর্বোপরি মন্ট্রিল প্রটোকলের যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে জীবন রক্ষাকারী ওজোন স্তর সুরক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গ্রহণ করা হয়। এই দিনটি পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোন রক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকেই বাংলাদেশেও দিবসটি পালিতদ হয়ে আসছে।