নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার রোধে এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারক ও ৪৫ অঙ্গরাজ্যের বিচারকরা। অবৈধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানকে কিনে নিয়ে প্রতিযোগিতা থামানোর অভিযোগে তারা এ মামলা করেন।
একইসঙ্গে এই টেক জায়ান্টের ক্ষমতা কমাতে আদালতের কাঠগড়ায়ও গিয়েছেন তারা। এতোদিন পর্যন্ত ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমনে ফেসবুক ‘বাই অর বুরি’ কেনা বা দাফন করায় বিশ্বাসী। সে প্রসঙ্গে সেখানে প্রধান মার্ক জুকারবার্গের একটি ইমেইলের কথা উল্লেখ করা হয়। যেখানে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ মেইলটিতে জাকারবার্গ লিখেছিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে কিনে নেওয়া ভালো।
মামলাকারীদের দাবি, ফেসবুকের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেগুলোর উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আয় বাড়াতে এসব তথ্য তারা বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস বলেন,নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী কমাতে ফেসবুক প্রায় ১ যুগ ধরে ছোট ছোট কোম্পানিকে শেষ করে দেওয়ার প্রচলন অব্যাহত রেখেছে। ব্যবহারকারীদের থেকে যা আয় করছে তা দিয়েই একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে ফেসবুক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের উপর কোনো কোম্পানিরই এতোটা প্রভাব থাকা উচিত নয়। এ কারণেই আমরা মামলা করেছি।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের জেনারেল কাউন্সিল জেনিফার নিউস্টিড জানান, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ কেনার পর অ্যাপ দুটিকে সফল বানাতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ফেসবুক। অ্যান্টিট্রাস্ট আইন বানানো হয়েছে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করতে ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে, সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দিতে নয়।