জন্মনিবন্ধন করাতে গিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নাজমুল হক বাবু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর দেয়া তথ্য মতে ১৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আসামিকে আদালতে সোপর্দ ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর জেলার প্রতিবেশী শ্রীবরদী উপজেলার বালুঘাটা গ্রামের এক নারী পোশাক শ্রমিক ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতে যান। কিন্তু জন্মনিবন্ধন না থাকায় চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
গত তিন মাস আগে নিলাক্ষিয়া ইউপির উদ্যোক্তা নাজমুল হাসান বাবু ওই মেয়েকে একটি ভুয়া জন্মসনদ করে দেয়। জন্ম সনদটি ভুয়া হওয়ায় তার কোনো কাজে আসেনি। এরপর ওই পোশাক শ্রমিক বাবুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে । বাবু ওই নারীকে ঢাকা থেকে নিলাক্ষিয়ায় আসতে বলে। গত ১৩ জানুয়ারি ওই নারী ঢাকা থেকে তার নানার বাড়ি বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা এলাকায় আসেন।
১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম সনদ নিতে যান তিনি। সার্ভারের ত্রুটি আছে বলে তাকে বিকালে আসতে বলে উদ্যোক্তা বাবু। কিছুক্ষণ পর বাবু সার্ভার ঠিক না হওয়ার দোহাই দিয়ে ওই কিশোরীকে সন্ধ্যার পর ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলে। সন্ধ্যার পর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে নাজমুল হক বাবু। পরে স্বাক্ষর ছাড়া একটি জন্মনিবন্ধন তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতেই বিদায় করে দেয় বাবু। বাবুর ভয়ে নিরুপায় হয়ে ওই নারী বাড়ি চলে যায়।
সোমবার বিকালে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেয় নির্যাতিত নারী। অভিযোগের পরই ইউপির উদ্যোক্তা নাজমুল হক বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।