fbpx

আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কি তবে তালেবানের হাতে?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ক্ষমতায় এসেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে অনুযায়ী চলতি বছর ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কাবুল থেকে সব সেনা সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ধাপে ধাপে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হতেই দেশটিতে সহিংসতা বাড়িয়ে দেয় জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান। প্রকাশ্যেই হুশিয়ারি দেয়, তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কাবুলে আশরাফ ঘানি সরকারের পতন।

এই লক্ষ্যেই যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল গোষ্ঠীটি। দেশটির উত্তরাঞ্চলে ইরান ও তুর্কমিনিস্তানের সাথে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জঙ্গিরা। তাদের দাবি, সীমান্তবর্তী টোরঘুনদি ও ইসলাম কালা শহরও এখন তাদের ক্ষমতায়। একটি কাস্টম কার্যালয়ের ছাদ থেকে জঙ্গিদের আফগানিস্তানের পতাকা নামিয়ে নিতেও দেখা গেছে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দাবি , ইসলাম কালা সীমান্ত ক্রসিং এখনও আফগান সারকারে নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।

তালেবান বলছে, দেশটির ৮৫ শতাংশ এলাকাই এখন তাদের হাতের মুঠোয়। এই দাবিতে সমর্থন জুগিয়েছে রুশ সরকারও। জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের সাথে সীমান্তের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকাই এখন তালেবানের দখলে। জঙ্গিরা আফগানিস্তানের চারশটি জেলার এক তৃতীয়ংশের বেশি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আফগানিস্তান সরকারের জন্য এ সব ঘটনা বড় ধাক্কাই মনে করা হচ্ছে। তবে কি জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের হাতেই চলে যাচ্ছে আফগানিস্তান?

এদিকে, তড়িঘড়ি করে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়া নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর মধ্যে অন্য কোনো মতলব আছে কি যুক্তরাষ্ট্রের? গেল বৃহস্পতিবার, বাগড়াম ছেড়ে হুট করেই মার্কিন সেনারা চলে যায়। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বও হস্তান্তর করেনি। তুমুল ক্ষমতাধর মার্কিন সেনাদেরও গোপনে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করতে হয়, এ এক বিস্ময়ই বটে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, জঙ্গি গোষ্ঠীর বারবাড়ন্ত সহিংসতায়, আফগানিস্তানের অনেক সেনাই তাজিকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশটিতে গৃজযুদ্ধের আশঙ্কা করছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply