প্রায় এক মাস ধরে টানটান উত্তেজনা বইছে এফডিসিতে। আগামী ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ২০২২-২৪ মেয়াদের সমিতির দায়িত্ব নিতে প্রতিদ্বন্দীতা করছে দুটি প্যানেল। ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেল। অন্যটি মিশা-জায়েদ প্যানেল। ভোটারদের সমর্থন টানতে এর মধ্যেই দুই প্যানেলেই তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। চলুন দেখে নিই কী আছে এই ইশতেহারে।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ২২ দফা ইশতেহার তুলে ধরেন এই প্যানেলের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইশতেহারে সবার উপরে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এফিডসিতে আনার বিষয়টি। শিল্পীদের জন্য কল্যান ট্রাস্টের ব্যবহার, চলচ্চিত্র নির্মাণে ঋণের ব্যবস্থা, বাতিল বা স্থগিত ও ভোটাধিকার বঞ্চিত শিল্পীদের ভোটের আওতায় আনা, এবং শিল্পীদের মর্যাদা রক্ষায় কেউ একবার সদস্য হলে আজীবন সদস্য পদ রাখা, অসময়ে শিল্পীর পাশে দাঁড়ানো সেই সাথে সহায়তা গ্রহণকারীদের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ না করার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে।
ইশতেহারে আরও জোড় দেয়া হয়েছে শিল্পীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়ের ওপর।
আগে ভাগেই নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন এই প্যানেলের সভাপতি মিশা সওদাগর। এই প্যানেলে সবচেয়ে বড় ঘোষণা শিল্পীদের থাকার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা। প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে দায়িত্বে গেলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের থেকে ১০ থেকে ২০ বিঘা জায়গা নিয়ে সেখানে বাসস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবেন তারা। প্যানেলটি জানায়, সমিতির কোষাগারে ১২ লাখ টাকা রয়েছে। এটাকে ৫০ লাখে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের। সেই সাথে যোগ্য শিল্পীদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে অযোগ্যদের বাতিল করা হবে বলেই জানিয়েছেন মিশা সওদাগর।