fbpx

আমার ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই আকর্ষণীয় নয়: গ্রেটা থুনবার্গ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গ্রেটা থুনবার্গ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দিনের পর দিন একাই আন্দোলন করে বিশ্ব নেতাদের আঙ্গুল তুলেছিলেন এই কিশোরী। ধীরে ধীরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশে দেশে। জাতিসংঘের সমাবেশে দাঁড়িয়েও জলবায়ু ইস্যুতে ক্ষমতাধরদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সাহসী এই পরিবেশবাদী।

এখন গ্রেটার বয়স ১৮। জলবায়ু নিয়ে সংক্রিয় কার্যক্রমে ২০১৯ সালে হয়েছেন টাইম বর্ষ সেরা ব্যক্তিত্ব। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক নানা পুরস্কার।

সাহসী, সংগ্রামী আর ভীষণ জেদি পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটাকে চেনে দুনিয়া। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের গ্রেটা? সেও কি একই রকম?

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম বিবিসিতে এই বিষয়ে কথা বলেছেন গ্রেটা নিজেই।

তিনি জানান, রাজপথে আন্দোলনরত গ্রেটা আর ঘরের গ্রেটার সাথে বড় তফাত রয়েছে। এবং তিনি চানও না, সেই গ্রেটাকে মানুষ জানুক।

সুইডেন পার্লামেন্টের পাশে দিনের পর দিন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বসে থাকা গ্রেটা, নিজের জীবন নিয়ে নাকি বেশ উদাসীন। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সামনে আমি খুব রাগে থাকি, তবে ব্যক্তি জীবনে আসলে আমি তা নই। আমি খুব শান্ত। আমার ভবিষ্যৎ, জীবন একেবারেই আকর্ষণীয় নয় ‘

গ্রেটা বলেন, নিজেকে পরিবেশবাদী সেলিব্রেটি নয় বরং পরিবেশ আন্দোলন কর্মী হিসেবেই দেখতে চান।

অনেকেই মনে করেন পরিবেশ নিয়ে কথা রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের মধ্যেই আটকে থাকে। অনেকেই বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে যথেষ্ট কিছু হচ্ছে না। বরং এর সমাধানের বিষয়ে বিশ্বকে প্রচার করা সহজ। সমালোচকদের এই দাবির বিষয়ে কি বলতে চান? –বিবিসির এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রেটা বলেন –

‘ এখানেই পরিবেশ কর্মীর কাজ। সবাইকে এক করতে বক্তব্য দিতে হবে। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়া আমাদের কাজ না‘

জলবায়ু আলোচনার জন্য কোন বিষয়টাকে সফল বলে মনে করেন? এর উত্তরে গ্রেটা বলেন,

‘এটা তখনই সফল হবে, যখন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন। যখন বুঝবে আমরা কত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরণ দরকার। তখনই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবাই সোচ্চার হবে। তবেই কাজটা সহজ হবে। না হলে সমাবেশ করে এর থেকে কোনো সমাধান আসবে না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply