আমিন জুট মিলের বকশীগঞ্জ ক্রয়কেন্দ্রে পাট না কিনে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আমিন জুট মিলের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক আ. রাজ্জাক দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
সকারের বানিজ্যিক অডিট দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও টাকা আদায়ে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রোববার ২০০১২-১৩ অর্থ বছরের ওই অডিট আপত্তি নিয়ে বৈঠক করে সরকারি হিসাব কমিটি। কমিটি থেকে টাকা আদায়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সংসদে অনুষ্ঠিত হিসাব কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) বিভিন্ন অডিট আপত্তি নিয়েও আলোচনা করে। এরপর আত্মসাতের ঘটনায় আ. রাজ্জাককে বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতে রিট করলেও ২০১৬ সালে তা খারিজ হয়ে যায়।
তবে এ বিষয়ে বিজেএমসি বলেছে, নথিতে ক্রয় বেশি দেখানো হলেও বাস্তবে টাকা আত্মসাৎ হয়নি। বিজেএমসির ওই বক্তব্য গ্রহণ করেনি অডিট দপ্তর। এছাড়া কমিটি বেশ কিছু অডিট আপত্তি নিয়ে বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে কয়েকটি আপত্তির বিষয়ে দ্রুত টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে কমিটির বৈঠকের নথি থেকে জানা যায় ঢাকার করিম জুট মিলে অনুমোদিত সীমা অপেক্ষা পাটের ওজন ও মানজনিত ক্ষতি বেশি হওয়ায় ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের আওতাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানির ২০১১-২০১২ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার আপত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ১২ লাখ টাকা ২ মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।