আগাম আলু প্রতিকেজি ৬০, জমিতেই বিক্রি। বিগতবছর গুলোর তুলনায় এ বছর বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। মৌসুমের শুরুতেই নীলফামারীর বিভিন্ন উপজেলার বাজারে আগাম আলুর চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি পাচ্ছেন কৃষকরা ।এতে চলতি বছরে কয়েক দফা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে মনে করছেন আলুচাষীরা । বর্তমানে পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকেই প্রতি মণ আলু কিনছেন ২৩০০-২৪০০ টাকায়, যা কিনা খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যায়েে দাম পড়ছে ৯০-১০০ টাকা দরে।
মৌসুমের শুরুতে বাজারে আগাম আলুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও একটু বেশি থাকে,পর্যায়ক্রমে বাজারে আগাম জোগান বেড়ে গেলে দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা ।
স্থানীয় আলুচাষীরা জানান, প্রায় একসপ্তাহ ধরে আলু উত্তোলন করছেন, এই মৌসুমের শুরুতেই পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারগুলোতে।
এদিকে আন্যান্য ইউনিয়নের চাষিরা বলছেন ক্ষেতের আলু উত্তোলনের খবর পেয়েই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে মাঠ থেকেই কিনে নিচ্ছে । প্রতি মন আলু ২ হাজার ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । সে হিসাবে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ৫৯ টাকা করে। তাতে করে বীজ, সার, পরিচর্যা ও সেচ বাবদ খরচ বাদ দিয়ে যথেষ্ঠ লাভ করছেন চাষীরা ।
তবে নীলফামারীর খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হিমাগারের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকায় ।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পোকা ও রোগবালাই দেখা দেয়নি। ।এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি উৎপাদনের ক্ষেত্রে অতীতের রেকর্ড ভাঙবে বলে প্রত্যাশা করছেন কৃষি বিভাগ ।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়,এবার জেলার ছয় উপজেলাতেই কমবেশি আগাম আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে।