fbpx

আসছে ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের আমদানী, আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। প্রতিদিন হাজার মণ ইলিশ জেলা শহরের বড়স্টেশন এলাকার আড়তে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

আসছে ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে

এখন যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলো আকারে খুব ছোট বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইলিশ মাছের আমদানি ঈদের পর থেকেই বাড়ছে। প্রায় হাজার মণ ইলিশ আসছে প্রতিদিন। এসব ইলিশ দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা, দৌলতখান, চরফ্যাশন, হাতিয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাছঘাটে আনা হচ্ছে। আমদানি ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। যদিও এখন যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলো আকারে খুব ছোট বলে জানা গেছে।

জেলা মৎস্য বণিক সমিতি থেকে আরও জানা যায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন তারা। সেখানে প্রতিনিয়ত হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আড়ত ও ঘাটে উপস্থিত সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কর্মরত শ্রমিকদের সমিতির পক্ষ থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেওয়া হয়েছে।

আড়তের মাছ বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজির ইলিশের দাম সেখানে ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা, এক কেজির বেশি ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, দেড় কেজির বেশি ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে, দেশের চলমান বিধিনিষেধের কারণে অনেক ক্রেতা ঘাটে আসতে পারছেন না বলে বেচাকেনার অবস্থা খুব একটা ভাল না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুর কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ইলিশের মৌসুম। ইলিশের সবচেয়ে বড় ল্যান্ডিং সেন্টার চাঁদপুর। অতিবৃষ্টিতে পানির গভীরতা ও স্রোত বেড়ে গেলে চাঁদপুরের নদীতে বেশি ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

এদিকে, অভয়াশ্রমগুলোতে জাটকা ধরা এবং নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরা বন্ধ করার জন্য গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সময়টিতে চট্টগ্রামের হালদা নদীর আটটি পয়েন্টে প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। মাছের প্রজনন মৌসুমে যেন অবৈধ জাল পেতে মা মাছ ধরা, ইঞ্জিন চালিত নৌকার চলাচল বন্ধ, ডলফিন হত্যা করা বা বালু তোলার মতো ঘটনার উপর নজরদারি রাখা যায়।

এরপরই বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৫ এপ্রিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

টানা প্রায় পাঁচ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার ফলে ঘাটে এখন ইলিশের আমদানি বেড়েছে। আস্তে আস্তে এই আমদানি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply