fbpx

ইইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২১ সালের প্রথম পহরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হল যুক্তরাজ্যের। সাড়ে চার বছরের আলোচনা-সমালোচনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো ব্রিটিশ সরকার। গ্রিনিচ মান সময়- রাত ১১টা থেকে ইইউ’র নিয়ম-কানুন অনুসরণ বন্ধ করে দেয় দেশটি।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের উৎপাদনকারীরা ইইউ’র অভ্যন্তরীণ বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এছাড়া ব্রিটেন ও এই অঞ্চলের দেশগুলোতে আমদানির ক্ষেত্রেও কোনো শুল্ক থাকছে না। এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাখাত নিয়ে । অথচ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এখন থেকে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইউরোপে স্বাধীনভাবে যাতায়াত করতে পারবেন না। আর্থাৎ ভিসার দরকার হবে।  এই রকম ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে ইউরোপীয় দেশগুলোর ক্ষেত্রেও।

ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যে এসে কাজ করতে চাইলে অথবা যুক্তরাজ্য থেকে ইউরোপে গিয়ে কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক ভিসা বাধ্যতামূলক।

জিব্রালটার নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তে আরও একটি চুক্তি হয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং স্পেনের মধ্যবর্তী জিব্রালটার প্রণালী কার হবে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। ৩১ তারিখ শেষ মুহূর্তে দুই দেশ সিদ্ধান্ত নেয়, জিব্রালটার স্পেন এবং যুক্তরাজ্য দুই তরফের কাছেই খোলা থাকবে। এখানে যাতায়াতের জন্য আলাদা কোনও অনুমতি লাগবে না।

ব্রেক্সিট নিয়ে এখনও নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। তবে ইইউ থেকে বেরিয়ে গিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । নতুন বছর উপলক্ষে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘ যুক্তরাজ্য একটি স্বাধীন, আন্তর্জাতিকতাবাদে বিশ্বাসী রাষ্ট্রে পরিণত হলো। স্বাধীনভাবে এ বার বাণিজ্যে অংশ নেওয়া যাবে।‘

Advertisement
Share.

Leave A Reply