ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নিত করতে চায় ইরান। জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা বলছে – এমনটা হলে এটিই হবে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন ।
একটি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার জন্য শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। তবে ইরানের কাছে এখনও ওই পরিমাণে ইউরেনিয়াম নেই।
২০১৫ সালে ছয়দেশে করা চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে তাদের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ৪ শতাংশের নিচে রাখার কথা ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন। একই সাথে তেহেরানের ওপর পুনরায় কঠোর অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপর থেকেই ইরান চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়ে আসছে। কিন্তু চু্ক্তির অংশীদার বাকি দেশগুলোর হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। যদিও ইরানের বিরুদ্ধে নানা সময়ে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
দ্য ইন্টারন্যাশনাল অটোমেটিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) জানায়, ইরান এক চিঠিতে তাদেরকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বলেছে, তারা তাদের ‘ফোর্দো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট’ এ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে চায়। ইরানের কোম নগরীতে পাহাড়ের নিচে মাটির অনেক গভীরে এই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ক্ষেত্রটি অবস্থিত।
তবে ইরান কবে নাগাদ ‘তাদের এই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু করতে চায় সে সম্পর্কে চিঠিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
পরমাণু চুক্তির অংশ হিসেবে ২০১৯ সালে ইরানের উপর বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সর্বোচ্চমাত্রা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তখন থেকেই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি ছিল।
গেল বছর নভেম্বরে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেহকে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। এরপরই দেশটির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়। যেখানে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশে উন্নিত