ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন-মালিক শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে টানা তিনদিন বন্ধ ছিল বাস। ভোগান্তির চরমে ছিল যাত্রীরা। মালিক পক্ষ ভাড়া বাড়ানোর শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বাস চলাচলে অনুমতি দিয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ বিআরটিএ থেকে ভাড়ার নতুন তালিকা না দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া এবং ভাড়া যতটুকু বেড়েছে, তার থেকেও অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।
৮ নভেম্বর (সোমবার) সকালে অফিসগামী যাত্রীরা এ বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তিতে পড়েন। সকাল থেকেই দূরপাল্লার বিভিন্ন গণপরিবহন ছেড়ে যেতে দেখা গেছে, তালিকা ছাড়া তারাও নিচ্ছেন বাড়তি ভাড়া। গত তিনদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় আজ সকালে দূরপাল্লার বাসে যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। তবে বিআরটিএ থেকে এখনো ভাড়ার নতুন চার্ট আসেনি। কাউন্টার থেকে নিজেদের মতো ভাড়ার তালিকা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
দূরপাল্লার বাসে কিলোমিটারপ্রতি আগে ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা যা বৃদ্ধি পেয়ে কিলোমিটারপ্রতি এখন হয়েছে ২ টাকা। বিভিন্ন গন্তব্যে যারা যাচ্ছেন বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের।
যাত্রীরা বলছেন, আগে নন-এসি বাসে ৫০০ টাকা ভাড়া নিত, এখন সেখানে ৮০০ টাকা নিচ্ছে। তারা জানায়,আগের চেয়ে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত এখন বাস ভাড়া বেশি চাওয়া হচ্ছে। এখন ভাড়ার চেয়েও বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের।
তবে কাউন্টার ম্যানেজাররা বলছেন,গতকাল রাত থেকেই তারা গাড়ি চালানো শুরু করেছেন। মালিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছিলেন, পরবর্তী সময়ে তাদের নির্দেশনা পাওয়ার পর গাড়ি চালানো শুরু করেছি। সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে আমাদের গাড়ি ছেড়ে গেছে। নতুন ভাড়ার বিষয়ে যাত্রীদের সাথে অনেক কথা বলতে হচ্ছে এবং অনেক সময় তর্কাতর্কির ঘটনাও ঘটছে। বিআরটিএ থেকে আজকালের মধ্যে নতুন ভাড়ার চার্ট পেয়ে যাবো বলেও জানায় তারা।