ইতালির দক্ষিণ উপকূলের কাছে উত্তাল সাগরে একটি নৌকা ডুবে গিয়ে ৫৮ জন অভিবাসী মারা গেছে। তাদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
নৌকাটির অনেক যাত্রী অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদসংস্থা বিবিসি দিয়েছে এ খবর।
জানা গেছে, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ভর্তি নৌকাটি ইতালির ক্যালাব্রিয়া উপকূলের কাছে ডুবে যায়।
প্রায় দেড়শ জন অভিবাসী নিয়ে ক্রোটন শহরের কাছে তীরে ভেড়ার চেষ্টার সময় নৌকাটি ফেটে যায়।
কাছের একটি পর্যটন শহরের বিচ থেকে অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আফ্রিকা থেকে প্রতি বছর অনেক লোক অবৈধভাবে সাগর পথে ইতালিতে ঢোকে।
নৌকাটি কোথা থেকে আসছিল তা পরিষ্কার নয়।
তবে স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নৌকার যাত্রীরা ইরান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
সংবাদ সংস্থাটি জানায় উঁচু ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি তীরের পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
ইতালিয় কর্তৃপক্ষ সাগর ও ডাঙায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে।
প্রতিবছর শত শত অভিবাসী সাগর পথে ইতালিতে ঢোকার চেষ্টা করে।
টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং আ্যাপে নিজেদের পাতায় ইতালির দমকল বিভাগ জানিয়েছে “বেশ কজন অভিবাসী মারা গেছে এবং প্রায় ৮০ জন প্রাণে বেঁচে গেছে।“
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, যিনি অবৈধ অভিবাসন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর নির্বাচিত হয়েছেন- এই দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর জন্য “গভীর দুঃখ” প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি এই ট্রাজেডির জন্য মানব পাচারকারীদের দায়ী করেছেন।
“নিরাপদ যাত্রার আশ্বাসে টিকেট বেঁচে তারা নারী পুরুষ শিশুদের জীবনের সাথে খেলা করছে,” এক বিবৃতিতে বলেন মেলোনি।
“এমন যাত্রা যেন শুরু না হতে পারে এবং এমন ট্রাজেডি যেন না ঘটে তার জন্য সরকার চেষ্টা করছে, এবং করে যাবে।”
জর্জিয়া মেলোনির দক্ষিণপন্থী সরকার অবৈধ অভিবাসী ভর্তি নৌকা ঠেকাতে কড়া অঙ্গীকার করেছে, এবং গত কদিনে সাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারের বিষয়ে কড়া কিছু আইন এনেছে।
দুই হাজার চৌদ্দ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে এক হিসাবে বলা হয়েছে।