fbpx

ইতিহাস গড়তেই বিশ্বকাপে নামিবিয়া!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বকাপের শুরুতে কয়জন ভেবেছিলো প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোবে নামিবিয়া! মাত্র ২৫ লক্ষ মানুষের দেশ, স্বপ্নটাও বোধহয় ঐ ২৫ লক্ষেই ছিল সীমাবদ্ধ। প্রথম রাউন্ডের বাধা তো জারহার্ড এরাসমাসরা পেরিয়েছেনই, দ্বিতীয় রাউন্ডেও করেছেন দুর্দান্ত শুরু। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে আসা দলটি।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নামিবিয়া অধিনায়ক। সিদ্ধান্তটাকে সঠিক প্রমাণ করার পথে সবচেয়ে বড় ভূমিকাটা পালন করেছেন রুবেন ট্রাম্পেলমান। একে একে তিন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন নিজের প্রথম ওভারেই। এরপরেও স্কটল্যান্ড একশ পেরিয়েছে মূলত মিচেল লিস্কের ৪৪ এবং ক্রিস গ্রিভসের ২৫ রানের ইনিংসে ভর করেই।

লক্ষ্যটা ১১০; শুরুটা দেখেশুনে করেছেন দুই ওপেনার ক্রেগ উইলিয়ামস এবং মিচেল লিনগ্যান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ১৮ রান করে লিনগ্যান ফিরে না গেলে ছয় ওভার শেষে নামিবিয়ার সংগ্রহটা হতে পারতো বিনা উইকেটে ২৯। লিনগ্যান ফিরে গেলেও উইলিয়ামসের ব্যাটে ভর করে এগিয়েছে নামিবিয়ার ইনিংস। ব্যক্তিগত ২৩ রানে উইলিয়ামস ফিরে গেলে তার পথ অনুসরণ করেন গ্রিন-এরাসমাসও।

কিন্তু হঠাৎ করেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া দলটিকে ঠিকই জয় এনে দিয়েছে ডেভিড উইজা-স্মিটের ৩৫ রানের জুটি। উইজা জয় থেকে আট রান দূরে দলকে রেখেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেও, স্মিট ফিরেছেন জয় এনে দিয়েই; অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে, উইজার সংগ্রহ ১৬। ১২ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন মিচেল লিস্ক।

দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয়ার পর নামিবিয়ার কোচ বলেছিলেন, ‘আমরা এমন কোনো সংগঠন নই, যাদের অঢেল সম্পদ আছে। আমাকে ১৮ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড বেছে নিতে হয়েছে। শুনতে ক্লিসে লাগলেও কঠোর পরিশ্রমের ফলই পাচ্ছে খেলোয়াড়েরা। ‘অধিনায়ক এরাসমাস বলেছিলেন, ‘আমরা ছোট একটা দেশ, খুবই কম মানুষ ক্রিকেট খেলে। নিজেদের নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত।‘

মাত্র ১৮ জনের মধ্য থেকে বেছে নেয়া একটা দল কি দুর্দান্ত ভাবেই না এগিয়ে যাচ্ছে! এমন দলকে নিয়ে তো গর্ব করাই যায়, বলাই যায়, “ইতিহাস গড়তেই বিশ্বকাপে নামিবিয়া”

Advertisement
Share.

Leave A Reply