fbpx

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের জয়

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩১; প্রতিরোধ গড়া যায় এমন কোনো সংগ্রহ বলা যায় না। তবুও মিরপুরে উইকেটে কোনো রানই ছোট না। এই কথাটাই প্রমাণ করলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। বিশেষ করে নাসুম আহমেদ। তার চার উইকেট শিকারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ২৩ রানে। ফলে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো অজিদের হারালো টাইগাররা। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নাসুম আহমেদ।

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের জয়

টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো অজিদের হারালো টাইগাররা

ব্যাটিংয়ে ছোট সংগ্রহ, সেই ছোট সংগ্রহকেই বড় করার দায়িত্ব নিয়েছেন টাইগার স্পিনাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই অ্যালেক্স ক্যারিকে দুর্দান্ত এক আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড করে যেনো সেই আভাসাটাই দিলেন শেখ মাহেদি হাসান। পরের ওভারে মাহেদির দেখানো পথে নাসুম, দুর্দান্ত স্পিনে পরাস্ত করেছেন অজি ব্যাটার জশ ফিলিপেকে। বাকি কাজটা করতে ভুল করেননি উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান । তার স্ট্যাম্পিংয়ে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে ফিলিপে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দৃশ্যপটে সাকিব আল হাসান। সাকিবের বলে মইসেস হেনরিক্স যখন ফিরেছেন তখন অজিদের রান ৩ উইকেটে ১১।

অজিদের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব তখন সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ, তার সঙ্গী অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। দুজনে মিলে গড়লেন ৩৮ রানের জুটি। যদিও এর আগে কয়েকবার সুযোগ দিয়েছিলেন দুজনেই। ৯ম ওভারে ৪র্থ স্পিনার হিসেবে আক্রমণে স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের ওভারে পরপর তিন বলেই উইকেটের সম্ভাবনা তৈরী করেছিলেন রিয়াদ। প্রথমে কাভারে ম্যাথু ওয়েড ক্যাচ তুললেও সেটি ছিল কাভারে দাড়ানো মাহেদির নাগালের বাইরে। পরের বলে প্যাডল সুইপ করতে গিয়েছিলেন, বলকে ফলো করার কারণে উইকেটকিপার নুরুল হাসান পৌছতে পারেননি  অন্য দিকে বাক খেয়ে যাওয়া বলটার কাছে। হাত বাড়িয়ে শুধু গ্লাভসেই লাগাতে পেরেছেন। এরপরের বলেই দারুণভাবে বলের গতি কমিয়ে মার্শকে বোকা বানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ফিরতি ক্যাচটা গেছে তাঁর হাতের নাগালের বাইরে দিয়েই।

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের জয়

চার উইকেট নিয়ে সবার সেরা নাসুম আহমেদ

পরের ওভারে আক্রমণে নাসুম, এসেই অধিনায়ককে সাফল্য এনে দিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। লেগস্টাম্পের বেশ বাইরের নিরীহ বলটা ম্যাথু ওয়েড ছেড়ে দিলেও  পারতেন, ওয়াইডই হতো। কিন্তু তা না করে সেটিতেই পুল শট খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। শর্ট ফাইন লেগে নিচু হয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের উইকেটটাও নাসুমের, ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নাসুমের বলে হিট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এস্টন আগার। ১৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭৩/৫।

১৬তম ওভারে নাসুম ফেরালেন বাংলাদেশের জয়ের পথের কাঁটা মার্শকে, ৪৫ বলে ৪৫ করা মার্শ ফিরেছেন শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে। নাসুমের বোলিং স্পেল ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট। নাসুমের বলে ক্যাচ নেওয়া শরিফুলও রান দিয়েছেন ১৯, তবে তিন ওভার বল করে তার শিকার ২ উইকেট। এরপর নিয়মিতভাবে উইকেট হারালে জয়ের স্বপ্নটা ফিকে হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার। দুর্দান্ত বল করেছেন সাকিব-মুস্তাফিজ-মাহেদি। ১৬ রানে মুস্তাফিজ নেন ২ উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় রানে।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিলো দুর্দান্ত, মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ নাইমের ব্যাট থেকে এসেছে ছক্কা। কিন্তু শুরুর ছন্দটা ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৩৩। পাওয়ারপ্লেতে একমাত্র উইকেট হিসেবে সৌম্য সরকার জস হ্যাজলউডের বলে আউট হয়ে ফিরেছেন ৯ বলে ২ রানে।

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের জয়

ব্যাট হাতে টাইগারদের সবার সেরা সাকিব

দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন নাইমও। অ্যাডাম জাম্পার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ফিরেছেন ২ ছক্কা এবং ২ চারে ২৯ বলে ৩০ রান করে। এরপর ইনিংসকে এগিয়ে নেবার হালটা ধরেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান রিয়াদ-সাকিব। ২০ বলে ২০ রান করেই হ্যাজলউডের বলে মইসিস হেনরিকসের ক্যাচ হয়ে অধিনায়কও ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।

৩৩ বলে ৩৬ রান করে হ্যাজলউডের বলে বোল্ড  হওয়া সাকিবই দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। ইনিংসের শেষের দিকে দ্রুতগতিতে রান তোলার কাজটা করেছেন আফিফ হোসেন। তার ১৭ বলে ২৩ রানে একশো ত্রিশ পেরোয় বাংলাদেশ। ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অজিদের সেরা বোলারে জশ হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক নিয়েছেন ৩৩ রানে দুই উইকেট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply