প্রবল বর্ষণের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় দুটি ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৯ জানুয়ারি) দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ডের মুখপাত্র রাদিত্য জাতি এক বিবৃতিতে জানান, ‘রাজধানী জার্কাতা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পশ্চিম জাভার কিহানজুয়াং গ্রামে শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিনে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ টায় দুটি ভূমিধস হয়’।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ভূমিধসটি প্রবল বর্ষণ ও আলগা মাটির কারণে ঘটেছে। আর যখন দ্বিতীয় ভূমিধসটি ঘটে, তখন উদ্ধারকারীরা প্রথম ভূমিধসের এলাকায় উদ্ধার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’
তবে সারাদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে উদ্ধারকারী সংস্থা ব্যানডাং এর মুখপাত্র সেনি উলান্দারি বলেন, ‘প্রথম ভূমিধসে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্ত দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হওয়ায় অনেকেই নিখোঁজ আছেন। তাদের সংখ্যা ঠিক কত, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমরা নিখোঁজের তালিকা তৈরির কাজ করছি’।
ভূমিধসের কারণে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ও ব্রিজ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে ভারী যন্ত্র নিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে।
এর আগে গেল অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, লা নিনা আবহাওয়ার কারণে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে’।
গত বছর সেপ্টেম্বরেও দেশটির বর্নেও দ্বীপের সুলাওয়েসিতে ভূমিধসে ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার মতে, দেশটির সাড়ে ১২ কোটি জনগণ ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।