ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট নুসা তেঙ্গারা এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর পরপরই দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেশটির আবহাওয়া বিভাগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প হয়েছে।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিকাল সেন্টার ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৭ হতে পারে বলে অনুমান করছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের প্রাথমিক হিসাবে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭ দশমিক ৩ ছিল বলে জানানো হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মওমেরে শহর থেকে প্রায় একশ’ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে।
প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে এক হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে বিপজ্জনক ঢেউ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভুমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম। এই এলাকায় সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পগুলোতে দ্বিতীয় মাত্রার বিপদ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া তার ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরে সুনামি হওয়ায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
আর ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে চার হাজার তিনশ’ মানুষের মৃত্যু হয়।