fbpx

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাপা’র

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে কাঙ্খিত সংলাপ। এ সময় নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে জাপা।

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব জাপা’র

ছবি: সংগৃহীত

সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দলটির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

তিনি বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো আইন হয়নি। জাপা’র মতে, আগামীতে যে ইসি গঠন করা হবে তার জন্য সংবিধানের বিধান অনুসরণে একটি আইন করা দরকার।

জাপা চেয়ারম্যান জানান, সংলাপে ৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে জাতীয় পার্টি। সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়ন করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সার্চ কমিটির জন্য যোগ্য ও নিরপেক্ষ চারজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে দিয়েছে দলটি। তবে, এদের নাম গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি। এছাড়া, রাষ্ট্রপতি যদি সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন না করে নিজের ক্ষমতাবলে গঠন করেন, সেক্ষেত্রে একজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। মোট পাঁচটি নাম প্রস্তাব করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জাপা নির্বাচন বর্জন করবে না। সরকার যা করবে তাতে সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, প্রথম দল হিসেবে সংলাপের জন্য সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বঙ্গভবনে গিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।

এছাড়া, আগামী ২২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, একইদিন সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাথে রাষ্ট্রপতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরবর্তীতে, ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিশ, ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু, তাদের মধ্যে মাত্র ৯টি দলের সংসদে প্রতিনিধি রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply