fbpx

উইকেটের চরিত্র পরিবর্তনেও বদলেনি ম্যাচের ফল; জিতেছে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-০ লিড নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেও নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়েছে জয় থেকে ৫ রান দূরে। বাংলাদেশের ১৪১ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড করতে পেরেছে ১৩৭ রান।

প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের সংগ্রহে ম্যাচে খানিকটা এগিয়েই ছিল বাংলাদেশ, বিশ রানের ভেতর নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নিয়ে সাকিব-মাহেদিরা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন ভালো কিছুরই; কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচে ফেরা শুরু নিউজিল্যান্ডের। নিজেকে প্রমোশন দিয়ে তিনে ব্যাট করতে নামা টম লাথাম জুটি গড়েন উইল ইয়াংয়ের সাথে। উইকেট আটকানোর সাথে রানের গতিও ঠিক রেখেছিলেন এই দুজন। অবশ্য খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই ম্যাচে দ্বিতীয়বার আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। সাকিব উইল ইয়াংকে ফেরান ব্যক্তিগত ২২ রানে, ভাঙ্গে লাথাম-ইয়াংয়ের ৪৩ রানের জুটি।

ইয়াং ফিরে গেলেও পথ হারায়নি নিউজিল্যান্ড, কলিন ড্য গ্র্যান্ডহোমের সাথে টার্গেটের দিকে এগোতে থাকেন কিউই অধিনায়ক লাথাম। গ্র্যান্ডহোমও বেশিক্ষন সঙ্গ দিতে পারেননি লাথামকে, জয় থেকে ৫৭ রান দূরে দলীয় ৮৫ রানে দুই ম্যাচে দ্বিতীয়বার নাসুমের বলে আউট হন কলিন ড্য গ্র্যান্ডহোম। একদিকে লাথাম উইকেটে থাকলেও ফিরে যান হেনরি নিকোলসও।

শেষ তিন ওভারে জেতার জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৭ রান, কিউইদের আশা দেখাচ্ছিলেন স্বয়ং অধিনায়ক টম লাথাম। ১৮ এবং ১৯ তম ওভারে মুস্তাফিজ এবং সাইফ উদ্দীনের ওভার থেকে নিউজিল্যান্ড নিতে পারে ১৭ রান, ফলে মুস্তাফিজের শেষ ওভারে কিউইদের দরকার ছিল বিশ রান। ফিজের ওভারে বিশ রান তোলার কঠিন কাজ আর করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ২০ তম ওভারের পঞ্চম বলে নো বলে চার খেয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মুস্তাফিজ নিজেই, অবশ্য শেষ দুই বলে নিউজিল্যান্ডকে দরকারি ৮ রান নিতে দেননি দ্য ফিজ। টম লাথাম অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৬৫ রান করে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন শেখ মাহেদি হাসান, ১২ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন এই অফি।

সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৫ নম্বর উইকেটে হওয়ার পর শুক্রবার মিরপুরের ৩ নম্বর উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লিটন-নাইমের পঞ্চাশ পেরোনো জুটির পর রিয়াদ-সোহানের ভালো শেষে এই স্কোর পায় টাইগাররা। নাইম শেখ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং লিটন দাশের ব্যাট থেকে আসে ত্রিশোর্ধ ইনিংস। এদিন আরেকবার সেট হয়েও স্ট্রাইকরেট বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার নাইম শেখ, ৩৯ রান করেছেন সমান সংখ্যক বলে। বাংলাদেশকে দেড়শোড় নিচে আটকাতে বড় ভূমিকা ছিল কিউই স্পিনার রাচিন রবিন্দ্রর। রবিন্দ্র নিয়েছেন লিটন, মুশফিক এবং নাইমের উইকেট।

সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দুইদল মুখোমুখি হবে ৫ সেপটেম্বর। করোনা থেকে সেরে উঠে তৃতীয় ম্যাচে দলে দেখা যেতে পারে কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেনকে। দলে আসতে পারেন পেসার ম্যাট হেনরিও।

Advertisement
Share.

Leave A Reply