fbpx

উত্তাপ ছড়াচ্ছে করোনা : ফের কঠোর লকডাউনে জার্মানি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সারা বিশ্বে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। দিন দিন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৭ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন প্রায় ১৬ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্বে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৫১৮ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ১২৬ জন। এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৩০২ জন।

এই রোগে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯২ হাজার ৬১৮ জন। আর মারা গেছেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৭ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৫ জন।

অন্যদিকে, বরাবরের মতোই সংক্রমণ তালিকার ২য় স্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২ জন। আর প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৭ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। সেখানে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৭০ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৫ জন। আর এতে মারা গেছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮২২ জন।

এদিকে তালিকার ১২ তম স্থানে থাকা জার্মানিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশটির সরকার। স্কুলসহ জরুরি নয়, এমন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জার্মানিতে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কঠোর এই লকডাউন জারি থাকবে। তবে বড়দিনের সময় লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হতে পারে বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৬৯ জন। আর মারা গেছেন ৭৪৯ জন।

তবে দেশটিতে নতুন এই লকডাউনের আওতায় জরুরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপারমার্কেট ও ব্যাংক খোলা থাকবে। আর নভেম্বর থেকেই রেস্তোরাঁ, পানশালা ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে।

এদিকে জার্মানির ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে কম বয়সীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ কমলেও বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়ছে। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভাইরাসটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করার ঝুঁকি বেশি।

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নতুন লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘গত নভেম্বরে শুরু হওয়া লকডাউন ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছিল না।’

তালিকার চতুর্থ স্থানে রাশিয়া, পঞ্চম ফ্রান্স এবং ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য। আর ইতালিকে পেছনে ফেলে তুরস্ক সপ্তম স্থানে চলে এসেছে। ইতালি এসেছে অষ্টম স্থানে। নবম স্থানে আছে স্পেন এবং দশম স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ২৬তম।

তবে দিন দিন মেক্সিকোতে করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। দেশটি এই তালিকার ১৩ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। একদিনেই দেশটিতে মারা গেছেন ৬৭০ জন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। কিন্ত তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর চীনের বাইরে ফিলিপাইনে গত ২ ফেব্রুয়ারি করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply