এবারে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। গতবারের চেয়ে এবার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। এবার যারা পরীক্ষা দেবে, তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি, ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভকেশনাল পরীক্ষার্থীয় বসবে।‘
দীপুমনি জানান, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ করতে হবে। শিক্ষার্থীরা কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না পরীক্ষার হলে।‘
পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
দীপু মনি বলেন, পরীক্ষার কারণে ৮ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আর পরীক্ষা শেষের ৩০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এবারে প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার কেউ প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ নয় মাস অপেক্ষার পর আগামী ১৪ নভেম্বর সকালে বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরদিন ১৫ নভেম্বর সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, বিকালে হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষা হবে।
১৬ নভেম্বর সকালে রসায়ন (তত্ত্বীয়), ১৮ নভেম্বর সকালে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া (তত্ত্বীয়), ২১ নভেম্বর সকালে ভূগোল ও পরিবেশ এবং বিকালে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষা হবে।