করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিনের লকডাউনে ঘরে বসে সারাদেশের মানুষ। লম্বা সময় ধরে বাইরে যেতে না পারা এমনকি ঘরে বসেই অফিসের কাজ, বেশিরভাগ সময় কাটছে শুয়েবসে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে চিন্তিত অনেকেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে আশার আলো দেখিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।
খাদ্য তালিকায় কি রাখা জরুরি এবং কি বাদ দেওয়া জরুরি, সে সম্পর্কে পুষ্টিবিদ তাসরিয়ার রহমান বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে অনেকদিন বাসায় বসে থাকলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার। লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, চর্বি ছাড়া মাংস, চিড়া, ওটস, সবজি, সালাদ ইত্যাদি খাবার দিয়ে সাজাতে হবে খাবারের মেন্যু।’
আগে থেকেই যারা বেশি ওজনের তাদের পরামর্শে তাসরিয়ার বলেন, ‘লকডাউনে ঘরে থাকলেও একেবারেই শুয়ে বসে থাকা যাবে না। ঘরের কাজ করে ব্যস্ত থাকতে হবে। কোল্ড ড্রিংস, ফ্যাটি খাবার তো বাদ দিতেই হবে। এরসাথে তিন বেলা খাবারের আগে ডালের সাথে শশা, স্যুপ, লেবুর শরবত ইত্যাদি পানি জাতীয় খাবার খেয়ে পেটটাকে অর্ধেক ভরে রাখতে হবে। যেনো ভাত, মাছ, ডিম, মাংস বেশি খেতে না হয়। একইসঙ্গে, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ তো অবশ্যই। তার সাথে ছাদে বা বারান্দায় ঘাম ঝড়ানো ব্যায়াম করতে হবে। কেউ চাইলে দড়িলাফের মতো ব্যায়ামও করতে পারে।’
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের খাদ্য ও ব্যায়ামের বিষয়ে পুষ্টিবিদ তাসরিয়ার জানান, ‘খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর তো রাখতেই হবে। এছাড়া নিয়মিত হাঁটাচলাও করতে হবে। বয়স্ক যারা আছেন, তারা দীর্ঘসময় পরিশ্রম করতে না পারলে বারান্দা, ছাদ বা বাড়ির সামনের লনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটাহাটি করতে পারেন।’
পর্যাপ্ত ঘুম, প্রচুর পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। চা-কফি, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড এবং বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকাই সুস্থ ও সুখী জীবনের প্রথম ও প্রধান শর্ত বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।