আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছে পরামর্শ কমিটি।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় লকডাউন বাড়ানোর এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। যেখানে তারা ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।যেখানে তিনি কোভিড-১৯ এর উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে উদ্বেগ জানান।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করায় কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করে।
বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দপ্তর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে।
এজন্য তারা লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরী সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করারও অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে এই কমিটি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। মার্চের শুরু থেকে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এজন্য সরকার ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের লকডাউনের ঘোষণা দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন শুরু হয়, যা চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত।