fbpx

করের বোঝায় ব্যাংকে টাকা জমাতে আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ব্যাংকিং খাতে কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ব্যাকিং চালু করেছিল সরকারি ব্যাংকগুলো। কিন্ত টিন সার্টিফিকেট না থাকায় তাদের আমানতের সুদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করছে ব্যাংকগুলো। ফলে বাবা মা শিশুদের ব্যাংক হিসাবে টাকা রাখতে আগ্রহ হারাচ্ছে। শিশুদের অ্যাকাউন্ট থেকে তারা টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিচ্ছে।

ফলে স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে টাকা জমানোর অভ্যাস কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ সংক্রান্ত একটি  চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে ব্যাংকিং সেবায় আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্যাংকগুলো। সে আলোকে ১৮ বছরের কম বয়সী একজন শিক্ষার্থী তার জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র বা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র এবং সর্বশেষ মাসের বেতন রশিদের সত্যায়িত অনুলিপির মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে পারেন। আর শিক্ষার্থীর পক্ষে পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক এই হিসাবটি পরিচালনা করতে পারবে।

সেখানে আরও বলা হয়, আয়কর অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪-এর সেকশন ৫৩ (এফ) অনুযায়ী ব্যাংকে রক্ষিত আমানতের সুদ বা মুনাফার ওপর ১৫% বা ১২ অঙ্কের ই-টিআইএন থাকা সাপেক্ষে ১০% হারে উৎস আয়কর দিতে হয়। যেহেতু এই অ্যাকাউন্টের মালিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং তাদের কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র ও ই-টিআইএন সার্টিফিকেট নেই, তাই তাদের হিসাব থেকে ১৫% হারে উৎস কর কাটছে ব্যাংকগুলো। তাই শিক্ষার্থীদের সুদের ওপর আয়করের পরিবর্তন আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, এই আয়কর না কমালে অভিভাবকরা নিজেদের হিসাবে অর্থ জমাবেন। যার ফলে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব কার্যক্রমটি বাধাগ্রস্ত হবে এবং শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ার উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে। এ বিষয়ে তারা এনবিআরের মতামত প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে স্কুল ব্যাংকিং হিসেবে শিক্ষার্থীদের জমা টাকার পরিমাণ এক হাজার ৮২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষার্থীদের মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৪টি। আর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অ্যাকাউন্টের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ০.৭৮ শতাংশ এবং এই সময়ে আমানত বেড়েছে ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply