সোমবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা মেডিকেলসহ রাজধানীর তিনটি হাসপাতাল ঘুরে মহাখালির ডিএনসিসি হাসপাতালের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই দুনিয়া ছেড়ে গেলেন আব্দুল জলিলের মা।
আব্দুল জলিল আজ দুপুরে চিকিৎসার জন্য মাকে নিয়ে এসেছেন রাজধানীর ডিএনসিসির করোনা হাসপাতালে। কিন্তু রোগী ভর্তির লাইনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার মধ্যেই মারা যায় তার মা। আর এই যন্ত্রণা সইতে না পেরে দিকবিদিক ছোটাছুটি ও আহাজারি করতে থাকেন আব্দুল জলিল। অভিযোগ করেন ডাক্তারদের অবহেলার কারণেই মারা গেছেন তার মা। তিনি বলেন একটিবার মাকে আইসিইউতে ভর্তি নিলে হয়তো মা মারা যেতেন না । আমি মা বলে ডাকতে পারতাম।

ছবি: বিবিএস বাংলা
জলিলের অভিযোগের সাথে কণ্ঠ মিলিয়েছে আরও রোগীদের স্বজনরা। মৃত্যুপথ যাত্রী রোগি ভর্তি করাতে না পারার যন্ত্রণা কোনভাবেই মানতে পারছেননা তারা। ভিআইপিদের ফোনের রেফারেন্সে রোগী ভর্তি নেয়া হলেও, ভর্তি নেয়া হচ্ছে না দূর দুরান্ত থেকে আসা করোনা রোগীদের এমনটাই অভিযোগ স্বজনদের।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছেনা সাধারণ মানুষ। নিরুপায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও আছে আলাদা ব্যাখা । তারা বলছেন পর্যাপ্ত আসন খালি না থাকায় রোগী ভর্তি নিতে পারছেন না ।

ছবি: বিবিএস বাংলা
এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে প্রতি মুহূর্তে অসংখ্য রোগী আসছে জেলা শহরগুলো থেকে। বেশির ভাগেরই অবস্থা গুরুতর। সরকারের আদেশ অমান্য করলে, লকডাউন না মানলে কিংবা আরও সচেতন না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।