fbpx

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তরা দ্রুত মারা যাচ্ছেন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভে আক্রান্ত রোগীরা আগের চেয়ে তাড়াতাড়ি মারা যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। একইসঙ্গে গতবারের চেয়ে এবার আক্রান্ত এবং মৃত্যু উভয়েরই হার বেশি। শুধু তাই নয় এবার করোনায় মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।

শনিবার এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য জানিয়েছে।

যেখানে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩৮ জন। আর এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৪১ জনের। সে হিসেবে দুই সপ্তাহেই মৃত্যুর হার বেড়েছে ৪৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চলতি বছর এপ্রিলে আগের বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মৃত্যু হয়েছে।

আইইডিসিআর গত বছরের ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল মাসের সঙ্গে এ বছরের একই সময়ের তুলনা করেছে। যেখানে দেখা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় ছিল, সেখানে মার্চে পাঁচজন আর এপ্রিলে ১৬৩ জন মারা গেছেন। আর এই বছর তিন মাসে মারা গেছেন যথাক্রমে ২৮১, ৬৩৮ এবং ৯৪১ জন।

প্রতিষ্ঠানটি ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, এ সময় আক্রান্তদের ৪৪ শতাংশই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ৩৩ শতাংশ রোগী প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে, ১৭ শতাংশ বাড়িতে এবং ছয় শতাংশ অন্যান্য উপায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আইইডিসিআর আরও বলছে, যারা মারা গেছেন, তাদের ৫২ শতাংশই উপসর্গ শুরুর পাঁচদিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ২৬ শতাংশ পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং ১২ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হন উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ শতাংশ এবং পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ শতাংশ রোগীর।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, “কোভিড- ১৯ রোগী খুব দ্রুত মৃত্যুবরণ করছেন।”

একইসঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীতে সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্বের কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।

আইইডিসিআর বলছে, কোভিড মহামারীর সময় বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৪৬ শতাংশের মধ্যে বিষণ্ণতা, ৩৩ শতাংশের মধ্যে দুঃশ্চিন্তার লক্ষণ পাওয়া গেছে। এছাড়া কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা চাপ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply