করোনা মহামারির কারণে দেশে কর্মজীবী তরুণীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ চাকরি হারিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝে তারা চাকরি হারান, যা তরুণদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি।
রবিবার (১১ জুলাই) ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন এক ওয়েবিনারে একটি সমীক্ষার ফল তুলে ধরেন।
সেখানে বলা হয়, যেসব তরুণী চাকরি হারিয়েছেন, তাদের অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজে পেতে খুব কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। আর তাদের আয়ের পথও খুব ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে।
আর যেসব নারী পুনরায় উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পেয়েছেন, তাদের আয় মহামারীর আগের আয়ের চেয়ে ২১ শতাংশ কমে গেছে। এদিকে যেসব তরুণ কাজ হারিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে যারা নতুন করে কাজে যুক্ত হয়েছেন, তাদের আয় আগের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে গেছে।
অন্যদিকে কাজ হারানো তরুণদের মধ্যে যারা নতুন করে কাজে যুক্ত হয়েছেন তাদের আয় আগের চেয়ে ১০% কমে গেছে। সে হিসেবে তরুণদের তুলনায় তরুণীদের আয় কমে গেছে।
ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমীক্ষায় উত্তরদাতারা উল্লেখ করেছেন, শিক্ষার্থীদের টিউশন পড়ানো, হস্তশিল্প, কারখানার চাকুরি, দর্জির কাজ এবং হালকা প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্রে সাধারণত তরুণীদের কর্মসংস্থান হতো। কিন্তু এই খাতগুলোই মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। এই খাতগুলোকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসা খুব কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ, তাই করোনাভাইরাস মহামারীকাল শেষেও তরুণীদের জন্য চাকরিতে ফিরে আসতে অসুবিধা হবে।
আগামী ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিআইজিডি এবং ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। যার শিরোনাম ছিল, ‘বিল্ডিং অ্যা রেজিলিয়েন্ট ইকোসিস্টেম ফর উইমেন ইন দি স্কিলস সেক্টর: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রস্পেক্টস’।
সেমিনারে ইমরান মতিন জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বেতনহীন থেকে অনেক শ্রমজীবী নারী স্থায়ীভাবে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন, যা শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের স্বল্প হারকে আরও কমাতে পারে। সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নিলে এই কোভিডের আঘাত নারীর ক্ষমতায়নের অনেক অগ্রগতি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে।’