করোনা মহামারির মধ্যে যখন দেশের মানুষ আশংকায় রয়েছেন আদৌ বেশিরভাগ মানুষ টিকার আওতায় আসতে পারবেন কিনা, টিকার পর্যাপ্ত চালান আসছে কিনা, সেই মুহূর্তেই করোনা টিকা নিয়ে সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তিনি জানান, বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে শিগগিরি আরও ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া যাবে। এর মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে আসবে আরও ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডোজ। আর জাপান দেবে ২৯ লাখ, চীন ১০ লাখ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেবে ১০ লাখ ডোজ টিকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, দেশের জেনেভা মিশন জানিয়েছে যে, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে মডার্নার টিকা আসবে আরো ত্রিশ লাখ (এরইমধ্যে ২৫ লাখ এসেছে), শিপমেন্ট রেডি আছে। আর জাপানিরা ২৫ লাখের পরিবর্তে বাড়িয়ে ২৯ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
আব্দুল মোমেন আরও লিখেছেন, ‘চায়নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার ১৫ তারিখে তাসখন্দে সাক্ষাৎ হবে এবং চায়নিজ সরকার আরও এক মিলিয়ন সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহার হিসাবে দেবে।’
https://www.facebook.com/DrAbdulMomenSylhet1/photos/a.785514011801560/1482106755475612
পাশাপাশি, আগস্টে ইইউ থেকে আসবে ১০ লাখ এবং কোভ্যাক্সের অধীনে আরও ছয় লাখ বিশ হাজার টিকা আসবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে জুন মাসের মধ্যবর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় দ্রুতই বাংলাদেশ ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাবে। আর তা জুলাই মাসেই হাতে পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছয় কোটির বেশি টিকা, যার মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এবং মডার্নার তৈরি ২৫ লাখ ডোজ দেশে এসেছে। এছাড়া, উপহারের টিকা হিসেবে চীন দিয়েছে সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা এবং একই কোম্পানি থেকে কেনা টিকার একটি চালানও দেশে এসেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা কোভিশিল্ডের টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু, দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসার পরই ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়।