বিশ্ব জুড়ে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৮ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ। ভাইরাসটি হানা দিয়েছে ৮ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের শরীরে। তবে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৫ কোটি ৮৮ হাজারেরও বেশি জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনয়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দিন দিনই খারাপ হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি রোগী। বেড়েছে মৃত্যুর হারও। থার্টিফাস্ট নাইট ও নিউ ইয়ারের জনসমাবেশ কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে করোনা মোকাবেলায়, নতুন বছর উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে জারি থাকবে এই কারফিউ। এই সময় প্রকাশ্যে একসাথে পাঁচজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যেও রাত্রিকালীন কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। দেশটিতে প্রাণ হানির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি। তবে পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে।
জাকজমক আয়োজনে নিউ ইয়ার উদযাপন হচ্ছে না এবার ফ্রান্সেও। জনশবাবেশ থামাতে এখানেও কারফিউ জারি করা হয়েছে। মানুষ যাতে নিষেধাজ্ঞা মানে তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এক লাখ পুলিশ। ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি মানুষ করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৬৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত।
অস্ট্রেলিয়া এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভাইরাসের প্রদুর্ভার ঠেকাতে সিডনিতেও নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাশিয়াতেও সংক্রমণ বেড়েই চলছে। বুধবার এক দিনেই শনাক্ত হয়েছে ২৬ হাজার রোগী।