fbpx

কর্ণফুলী টানেল প্রস্তুত হবে ২০২২ সালের মধ্যে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০২২ সালের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর অধিনে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’টি যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্ণফুলী টানেল প্রস্তুত হবে ২০২২ সালের মধ্যে

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর নদীর তলদেশের ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ মাধ্যম বাসসকে এ তথ্য জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘কর্ণফুলী টানেলের সামগ্রিক অগ্রগতি ৬২ শতাংশে পৌঁছেছে এবং আর্থিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে ৫৬ দশমিক ৮০ শতাংশে। এটি সম্পূর্ণ হলে টানেলটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ হবে।’

টানেলের অগ্রগতি সম্পর্কে পিডি বলেন, প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা রয়েছে ৪ হাজার ৪৬১ দশমিক ২৩ কোটি টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা রয়েছে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল বোরিং কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। এরইমধ্যে ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈঘ্যের একটি টানেলের টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং-এর কাজ ২০২০ সালের ২ আগস্ট সম্পন্ন হয়েছে।

এরপর, গত ১২ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় টানেল টিউব-এর বোরিং কাজ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরইমধ্যে, গত ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় টানেল টিউবের ১০৪ মিটার বোরিং কাজ শেষ হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ কাজের সাবস্ট্রাকচার-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সুপারস্ট্রাকচারের ২০৩টি প্রি-ফেব্রিকেটেড বক্স গ্রিডার এর মধ্যে ১৪২টির (৬৯.৯৫ শতাংশ) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত, ১ থেকে ১৩ স্প্যানসমূহের মধ্যে ১১৫টি প্রি-ফেব্রিকেটেড বক্স গ্রিডার এর প্রতিস্থাপন কাজ শেষ হয়েছে।

বর্তমানে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণ প্রকল্পে ২৬১ জন চীনা নাগরিক ও ৭৭৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক কর্মরত আছেন। শুরুর দিকের জটিলতা ও স্থবিরতা কাটিয়ে এখন বেশ গতি পেয়েছে প্রকল্পটি। এ গতি অব্যাহত থাকলে আগামী বছর নদীর তলদেশের ৪৩ মিটার নিচ দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply