আকাশ ফুঁড়ে উঠছে ইমারত। বর্তমান সরকারের দারুণ সব উদ্যোগগুলোর একটি বস্তিবাসীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট প্রকল্প। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন কলাবাগান বস্তিবাসীদের তিনশো ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব ফ্ল্যাটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা করে। তবে বস্তিবাসী বলছে আনুষাঙ্গিক বিল মিলিয়ে খরচ হতে পারে নয় হাজার টাকার মত। তাতেই মন খারাপ হয়েছে তাদের। ফুঁসে উঠেছেন ক্ষোভে। তারা বলছেন, সবমিলিয়ে এতো টাকার ভাড়া দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না।
এছাড়াও বস্তিবাসীদের দাবী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, যে তারা বস্তিতে ভাড়া থাকেন। আয়ের তুলনায় ফ্ল্যাটের অতিরিক্ত ভাড়া গলার কাঁটা হয়ে দাড়াচ্ছে এই সব নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে। তাই এমন আধুনিক ফ্ল্যাটে থাকতে চান না তারা, চান পুনর্বাসন।
গতকাল ঘরের ফরম হাতে পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। ওই ফরমে রয়েছে নানা শর্ত, যেগুলো না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ আছে। এছাড়া, ৫ জনের বেশি লোক বসবাস করতে পারবেন না ওই ঘরে। তাহলে যাদের পরিবারে একাধিক সদস্য রয়েছে, তারা কোথায় যাবেন দাবি বস্তিবাসীর।
এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে গৃহকর্মী থেকে শুরু করে গার্মেন্টস শ্রমিক, গাড়িচালক, দিনমজুর এমন নানা পেশায় নিযুক্তরা রয়েছেন, যাদের পক্ষে সরকারের দেওয়া এই ঘরের ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট প্রকল্প প্রশংসা কুড়াচ্ছে। কিছু অব্যবস্থাপনার জন্য যেন এই প্রকল্পের বদনাম না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলছেন বস্তির সচেতন নাগরিকরা।