জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারকে ৫৯ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগীদের তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না দেয়ায় এ জরিমানা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ৩০ দিনের মধ্যে এই জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় উবারের এই সেবা বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়। মার্কিন সরকারের নির্দেশ অমান্য করার জন্যই তাদের এ বড় অংকের জরিমানা গুণতে হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, উবারে চড়ে প্রায় ১২০০ এর বেশি যাত্রী যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
পরে সেই সকল ভুক্তভোগীরা উবার কর্তৃপক্ষকে তাদের হেনস্তার বিষয়টি জানান। সে সকল তথ্য উবারের কাছে নথিভুক্ত করা হয়।
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন (সিপিইউসি) ‘গোপন রাখার শর্তে’ এসব তথ্য উবারের কাছে চেয়েছিল।
কিন্তু যাত্রীদের অনুমতি ছাড়া এভাবে তথ্য দেয়াকে উবার ‘গোপনীয়তা লঙ্ঘন’ বলে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে।
উবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “সিপিইউসি বারবার একই দাবি করেছে যে আমরা যাতে যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ নাম এবং যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ করি, তাদের কোনো অনুমতি ছাড়াই। তাই আমরা এই চমকে উঠার মতো দাবির বিরোধিতা করেছি, পাশাপাশি বহু ভুক্তভোগীর অধিকারে সমর্থন জানিয়েছি।”
তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য সিপিইউসি তাদের জায়গা থেকে কিছুটা সরে এসেছে। সরকারি সংস্থাটি বলছে, উবার চাইলে নাম প্রকাশ না করেও তথ্য দিতে পারবে। তবে, উবারকে পুরোপুরি জরিমানার টাকা দিতে হবে।
এর আগেও উবারকে একাধিকবার জরিমানা গুণতে হয়। যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডস উবারকে ৯ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। অভিযোগ ছিল- গ্রাহকদের তথ্য চুরি। ২০১৬ সালে এক হ্যাকার উবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এসব তথ্য হাতিয়ে নেয়।
এদিবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনারস অফিস (আইসিও) উবারকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছে। গ্রাহকদের স্পর্শকাতর তথ্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের এ জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের তথ্য সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ডাচ ডাটা প্রোটেকশন অথরিটি উবারকে জরিমানা করেছে। এ জরিমানার পরিমাণ ৫ লাখ ৩২ হাজার পাউন্ড।