গতকাল বিকেল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছেন মুশফিক। তবে তা ব্যাটিংয়ে নয়, সমালোচনার ঝড়। সবারই মনে এক প্রশ্ন। মুশফিক এটা কী করলেন? তাঁর মতো একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এই আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে সবার প্রশ্নের জবাব দিয়ে নিজ ফেসবুক ওয়ালে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর ) এক পোস্ট করেন মুশফিকুর রহিম।
তিনি লেখেন ‘প্রথমত কালকের ম্যাচে যেটি ঘটেছে তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সব ভক্ত-সমর্থকের কাছে ক্ষমা চাইছি। ম্যাচের পরই আমার সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, ক্ষমা চাই সর্বশক্তিমানের কাছে। আমি যেটা করেছি সেটি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কথা দিচ্ছি সামনে মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে এটি আর ঘটবে না।’

নিজ ফেসবুক ওয়ালে মুশফিক ক্ষমা চান। ছবি : সংগৃহীত
প্রসঙ্গত, রবিবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক নিজের ওপর থেকে বারবার নিয়ন্ত্রণ হারান। অবশ্য তাঁর সতীর্থ ফিল্ডাররা যেভাবে ভুল করছিলেন, সে হতাশা থেকেই হয়তো তিনি তার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন নি। মুশফিক। ভুল ফিল্ডিংয়ের জন্য বার বার ধমকাচ্ছিলেন ঢাকার খেলোয়াড়দের।
তবে ইনিংসের ১৭তম ওভারে ঢাকার তরুণ বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম বোলিং করছিলেন। ওভারের শেষ বলে শফিকুলের বাউন্সারে আফিফ স্কুপ করার চেষ্টা করেন। টাইমিং গড়বড়ে বল উঠে যায় বাতাসে। শর্ট ফাইন লেগে থাকা নাসুমের জন্য ক্যাচটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। বলের দিকে চোখ রেখে ক্যাচ ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন তিনি। কিপিং পজিশন থেকে দৌড়ে নাসুমের সহজ ক্যাচটা নিজেই গ্লাভসবন্দী করেন মুশফিক। এ সময় নাসুমকে কিছু কড়া কথা শুনিয়ে দেন, হাত নেড়ে মারার ভঙ্গিও করেন! ১৩তম ওভারে আরেকবার নাসুমের ওপর চড়াও হন মুশফিক। নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করতে দেরি করায় আগেও একবার মুশফিকের বকা খান নাসুম। আর এজন্যই তিনি সর্বত্র সমালোচনার ঝড় তোলেন।