দেশেই পাহাড়ের মাটিতে চাষ হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম ‘সূর্যডিম’ জাতের আম।
জাপানের এই আমটি চাষ করেছেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার ধুমনি ঘাটের কাটামোড়া এলাকায় কৃষক হ্লাসিং মং।পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তাই এই আমের চাষ সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন হ্লাসিং মং। আর সারা দেশব্যাপী রয়েছে এখানকার ঊর্বর মাটিতে চাষ হওয়া কৃষিপণ্যের চাহিদা।
‘সূর্যডিম’ জাতের এই আমটি জাপানে তাইয়ো নো তামাগো নামে পরিচিত। আবার জাপানের মিয়াজাকিতে উৎপন্ন হবার ফলে এটাকে মিয়াজাকি আমও বলা হয়।
এছাড়া বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাংঙ্গো’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। জানা যায়, ২০১৫ সালের নিজের প্রায় ৩৫ একর পাহাড়ি জায়গায় স্থানীয় কয়েক প্রজাতির আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন কৃষক হ্লাসিং মং। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ভারত থেকে সূর্যডিম জাতের ২০টি চারা আনেন তিনি। এখন তার বাগানে ১২০টি ছোট বড় সূর্যডিম জাতের আমের গাছ রয়েছে। যার অর্ধেক গাছে ফলন এসেছে। অনেকটা লাল বর্ণের আমটিকে ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বলা হয়।
শখের বসে অল্প কয়েকটি সূর্যডিম গাছের চারা সংগ্রহ করে বলে জানান কৃষক হ্লাসিংম মারমা। পরে আস্তে ধীরে পাহাড়ি আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে গেলে চারার সংখ্যা করেন বৃদ্ধি হ্লাসিংম মারমা। বর্তমানে প্রত্যেকটি গাছে ১০/১২ কেজি করে ফল হয়েছে তার। প্রতিকেজি ৬০০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি করছেন বলেও জানান তিনি। এই আম এই আম ৩৫০ গ্রাম ওজনের অধিক নয়। এই আমের স্বাদ অন্য আমের চেয়ে ১৫ গুণ। ২০১৯ সালে দেশটিতে একজোড়া আম সাড়ে ৩ হাজার ডলারে বিক্রির রেকর্ড রয়েছে। হ্লাসিং মং এর বাগানে দেশি-বিদেশি, প্রচলিত ও অপ্রচলিত মিলে মোট ১৭০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। এই আমের আকার, আকৃতি, রং, মিষ্টতা, স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু পাহাড়ি মাটির সঙ্গে এটি মানিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে বাণিজ্যিকভাবে এই আম চাষাবাদ করা গেলে কৃষক লাভবান হবে।