fbpx

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি  দীর্ঘদিন ধরে আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে কিডনি সমস্যা বেড়েছে, রক্তের হিমোগ্লোবিনেরও ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে আবার থেমে থেমে জ্বর আসায় একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

২৫ অক্টোবর (সোমবার) দুপুরের তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। তিনি রোববার লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন। বর্তমানে তিনি খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় রয়েছেন।

গত ১২ অক্টোবর হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সপ্তাহখানেক তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে এত দিন কেউ কথা বলেনি। এবার তার চিকিৎসাকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ের মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

গত এপ্রিল মাসে খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।

এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। গত ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বাসায় কিছুদিন ধরে তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল।

দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড হলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে কারাগার থেকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। পরে আরও তিনবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply