fbpx

গণপরিবহন ধর্মঘট, বিপদে কক্সবাজারের পর্যটক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল শুরু হয়েছে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘট। ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন কক্সবাজারে আসা হাজার হাজার পর্যটক।

কক্সবাজারের বাস পরিবহন সেবার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, গতকাল থেকে বাস ধর্মঘট হবে এমন খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রচার হয়ে যায়। এতে বৃহস্পতিবার হওয়া সত্ত্বেও অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন। রাতের বাসগুলোতে অনেক ভিড় ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষের নির্দেশনার পর গতকাল একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের কল করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ টাকা ফেরতও নিয়েছেন। আবার কেউ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। সরেজমিনে কলাতলীতে দেখা গেছে, সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারেও পরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আগত পর্যটকরা। এতে হোটেল ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক নাজমুল হাসান বলেন, ‘দুদিন আগে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। ধর্মঘটের কারণে ঢাকায় যেতে পারছি না।’ গতকাল ঝাউতলা গ্রীন লাইন কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বুকিং দিয়েছলাম। এখন কাউন্টার থেকে বলছে রাতে গাড়ি না ছাড়লে টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু থাকব কোথায়, রুমও ছেড়ে দিয়েছি। আরেক পর্যটক জামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকাল ৫টায় আমার টিকিট ছিল। কিন্তু এখন বাস যাচ্ছে না। বেড়াতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়লাম।’

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহন নেতা বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে কক্সবাজারে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা ওপরের নির্দেশনা আসবে তখন বাস চলাচল আবার শুরু হবে।’

ইউনিক পরিবহনের কক্সবাজারের ইনচার্জ আবদুর রহিম জানান, দিনে তাদের কোনো বাস নেই। রাতেই সব বাস চলাচল করে। অনেকের টিকিট বুকিং ছিল, যারা যেতে পারছে না তাদের ফেরত দিচ্ছি। আর যারা টিকিট ফেরত নেবে না তারা গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হলে যেতে পারবেন।

গ্রিন লাইন পরিবহন কক্সবাজারের ইনচার্জ সোলতান আহমদ জানান, আমাদের যাদের টিকিট বুকিং আছে তাদের শুক্রবার রাতে গাড়ি ছেড়ে না গেলে টাকা ফেরত দেব। ধর্মঘট চলমান থাকলে রাতে বাস না চলার সম্ভাবনার কথা যাত্রীদের বলে দিচ্ছি ফোন করে। যাতে আগেভাগে সতর্ক থাকেন যাত্রীরা।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম বলেন, বাস বন্ধের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পর্যটকরা আটকে পড়েছেন। আবার অনেকই বুকিং দিয়ে আসতেও পারছেন না। এতে ব্যবসার ক্ষতি হবে আবার। এটা সারা দেশে সমস্যা দ্রুত বসে সমাধান করা উচিত।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, পরিবহন ধর্মঘটের পর পর্যটকরা হয়রানি যাতে না হয়, সেজন্য খবর রাখা হচ্ছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply