fbpx

গায়ে রোদ মেখে সুস্থ থাকুন

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রোদ আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। এখন গরম চলে এসেছে। অনেকেই কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে বা বলিরেখা পড়ার ভয়ে একদমই রোদে বের হতে চান না। একদম ঠা ঠা রোদে কেউ আপনাকে বের হতে বলছে না। কিন্তু একদমই গায়ে রোদ লাগাবেন না, সেটা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো না। আরামপ্রিয় হয়ে রোদকে একেবারে বর্জন করলেও আপনি পড়তে পারেন ঝামেলায়। বিশেষ করে, মেয়েরা। সাম্প্রতিক গবেষণা অন্তত তাই বলছে। কারণ, চামড়ায় পর্যাপ্ত রোদ পড়লে তৈরি হয় ভিটামিন ডি, শরীরে যার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

গায়ে রোদ মেখে সুস্থ থাকুন

হাড় শক্ত করতে, ব্যাথামুক্ত থাকতে ভিটামিন ডি’র বিকল্প নেই। ছবি: সংগৃহীত

আমাদের মতো রোদের প্রাচুর্যের দেশে আগে ভিটামিন ডি নিয়ে কোনো ভাবনা ছিল না। আলাদাভাবে শরীরে রোদ লাগাতে হবে, এটা যেন বাঙালীরা ভাবতেই পারতো না। কিন্তু, ইদানীং কমবয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে শরীরে ব্যথার প্রকোপ খুব বেড়ে গেছে। এর জন্যই সামনে আসতে লাগল ‘ভিটামিন ডি’ এর প্রবল অভাবের খবর। বিশেষ করে, যারা সবসময় ঘরের ভেতর কাজ করেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিচ্ছে। ক্রমেই জানা গেল, শুধু ব্যথা নয়, এর অভাবে হতে পারে আরও নানান অসুখ। মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভসঞ্চারের আগে, গর্ভাবস্থায় ও ঋতুবন্ধের পরে শরীরে ভিটামিন ডি সঠিক মাত্রায় না থাকলে শরীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। হতে পারে বিভিন্ন ধরনের অসুখ।

ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব  

শরীরে প্রজেস্টেরোন হরমোনের বৃদ্ধির মূলে রয়েছে ভিটামিন ডি এর প্রভাব। কাজেই কম বয়স থেকে শরীরে এর অভাব হলে এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে, গর্ভসঞ্চারে অসুবিধা হতে পারে। সৌন্দর্যের খাতিরে নিতান্ত বাধ্য না হলে কেউই আজকাল রোদে বের হয় না। আর যদিও বা বের হন, নিজেদের এমনভাবে ঢেকে রাখেন, যে তা ভেদ করে রোদ শরীরে প্রবেশই করতে পারে না।

গর্ভাবস্থায় শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ ঠিক থাকাটা জরুরি। না হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে, যা মা ও সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া, এই সময় ক্যালসিয়ামের চাহিদা বাড়ে। ভিটামিন ডি ঠিক মাত্রায় না থাকলে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ও সাপ্লিমেন্ট দিয়েও সেই চাহিদা পূরণ করা যায় না।

গায়ে রোদ মেখে সুস্থ থাকুন

দিনে কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট রোদ লাগান গায়ে। ছবি: সংগৃহীত

ভিটামিন ডি এর অভাব হলে স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল, মোটকথা চেহারায় তার প্রভাব পড়ে। হাড় পাতলা হতে থাকে। যার কারণে হতে পারে শরীরে ব্যথা, বাড়ে ক্লান্তি৷ ঋতুবন্ধের পর স্ত্রী হরমোনের অভাবে হাড় এমনিই একটু নরম হতে থাকে, রুক্ষ হয় ত্বক, চুল। তার সঙ্গে ভিটামিন ডি এর অভাব যুক্ত হলে বিপদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ব্যথাবেদনার পাশাপাশি হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

বিজ্ঞানীদের মতে সকাল ৭টা থেকে ৯টার রোদ এক ঘণ্টা শরীরে লাগানো সবচেয়ে উত্তম। এতে সব দিক বজায় থাকে। সকালে না পারলে বেলা ১০টা থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে ১৫-২০ মিনিট রোদ লাগান শরীরে। আপনার ফর্সা থাকার চেয়েও সুস্থতা জরুরী। তাই নয় কি?

Advertisement
Share.

Leave A Reply