fbpx

গিনিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মধ্য আফ্রিকার দেশ গিনির একটি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েক দফা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৬১৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৯৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে বলা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার দেশটির প্রধান শহর বাটায় সেনাবাহিনীর ব্যারাকের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যেখানে ঘাঁটির পাশে কৃষকদের জমা করে রাখা খরকুটোতে আগুন লেগে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

সোমবার থেকেই স্বেচ্ছাসেবীরা ধ্বংসস্তূপের মাঝে মৃতদেহ খুঁজতে থাকেন। প্রাথমিকভাবে ৩১ জন নিহতের ধারণা করা হলেও ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর মাঝে তিনটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গিনির প্রেসিডেন্ট তেওডোরো ওবিয়াং নাগুয়েমা জানান, এই বিস্ফোরণে শহরের অনেক ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি এক বিবৃতিতে জানান, ডিনামাইটের মজুতে অবহেলার কারণে এনকোয়ানতোমা সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।

এই ঘটনায় তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ব্যারাকের চারপাশে কৃষকেরা জমিতে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এ কারণেও বিস্ফোরণ হতে পারে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রী এক টুইট করে বাটার আঞ্চলিক হাসপাতালে যেতে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া হতাহতদের রক্তদান করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের মানসিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

দেশটির সরকারি টিভির খবরে দেখা গেছে, হাসপাতালগুলো আহত মানুষদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফুটেজে অনেককেই জায়গার অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বার্তা সংস্থা এ এফপিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। আমরা ধোঁয়া দেখেছি। তবে আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছে।’

এই ঘটনায় এক টুইটে সমবেদনা জানিয়েছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অলিভার ব্রোচেনিন। তিনি এই বিস্ফোরণের ঘটনা বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেন।

এদিকে সোমবার স্প্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরানচা গনজালেজ জানিয়েছেন, দেশটিতে স্পেন দ্রুত মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

গিনি আগে স্পেনের উপনিবেশ ছিল। ১৯৬৮ সালে গিনি স্বাধীনতা লাভ করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply