গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পেল ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন ও স্বাধীনতার মাসেই এটি দেশের জন্য আরও একটি অর্জন ।
১৬ মার্চ মঙ্গলবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে রেকর্ডটি যুক্ত হয়েছে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু এই কর্মসূচির আহ্বায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, ১৬ মার্চ বিকাল ৮ টার দিকে একটি ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি জানান, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এটা আমাদের বড় অর্জন। এছাড়া এই অর্জন পুরো বাঙালি জাতির বলেও মনে করেন তিনি।
যে ১০০ বিঘা জমিতে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ করা হয়েছে সেখান থেকে প্রায় তিন হাজার মণ ধান মিলবে। আর এর পুরোটাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে দেওয়া হবে বলেও জানান আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দারে সর্বমোট ১২০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গড়ে তোলা হয়েছে। এ ধরনের এত বড় শস্যচিত্র বিশ্বের আর কোনো স্থানে হয়নি। শস্যর ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দু’ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হয়েছে।
আর এই কাজের জন্য ধানের চারা চীন থেকে নেওয়া হয়েছে। বেগুনি ও সবুজ রঙের দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চারা উৎপাদন করা হয়েছে। চারা রোপনের পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’। ১৪৫ দিনে এই ধান ঘরে উঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। সেই সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় করে জমি লিজ নেওয়া হয়েছে।