ঘুমানোর লক্ষণ দেখে নাকি বোঝা যায় দাম্পত্য জীবন কতটা সুখের অথবা সুখের না। একজন থেকে আরেকজন কতোটা দূরে ঘুমাচ্ছেন এটা দেখেই নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। অন্তত এমনটাই দাবী করছেন ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হালের এক সমীক্ষা। বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য আজ থাকছে, ঘুমানোর ধরন দেখে কীভাবে নিজেদের সম্পর্ক কেমন, বুঝে নিবেন।
১। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক কেমন, তা বোঝা যায় ঘুমানোর ধরন দেখে। পরস্পরের থেকে কতটা দূরে তারা ঘুমাচ্ছেন, তা দেখে বোঝা যেতে পারে, পরের দিনটা কেমন যাবে।
২। বেশির ভাগ দম্পতি রাতে মুখোমুখি শুতে পছন্দ করেন না। তাতে পরস্পরের গরম নিঃশ্বাস গায়ে পড়ে বলে, তাঁরা দু’জনেই একই দিকে মুখ করে শুতে বা পরস্পরের উল্টো দিকে মুখ করে শুতে বেশি পছন্দ করেন। সমীক্ষা বলছে, যে যুগল পরস্পরের ১-২ ইঞ্চির মধ্যে ঘুমান, তাঁরা নিজেদের নিয়ে সব চেয়ে বেশি খুশি।
৩। যারা ৩০ ইঞ্চি বা তার বেশি দূরত্ব রেখে ঘুমান, তাদের মধ্যে অনেকেরই দাম্পত্য সুখের নয়। কোনও কোনও দম্পতি ঘুমের শুরুতে পরস্পরকে ছুঁয়ে শুতে পছন্দ করেন। এই ধরনের দম্পতিদের মধ্যে ৯৮ শতাংশই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খুশি।
৪। আর যারা ঘুমের শুরুতে পরস্পরকে ছুঁয়ে শুতে চান না, তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ নাকি সম্পর্ক নিয়ে খুশি।
৫। রাতে ঘুম ভাল না হওয়ার সঙ্গে দিনের শুরুরও সম্পর্ক রয়েছে। সমীক্ষা বলছে, যে সব রাতে মহিলাদের ভাল ঘুম হয় না, তার পরের দিন সকালে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। সকালটা শুরু হয় মনখারাপ নিয়ে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও রাতে ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হয়। কিন্তু তার প্রভাব দিনের শুরুতে না পড়ে, অন্য সময় বেশি মাত্রায় পড়ে।