fbpx

চট্টগ্রামে ডেল্টায় সংক্রমিত ৯৩ শতাংশ করোনা রোগী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশের নমুনায় ডেল্টা ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)।  এক গবেষণায় তারা এ ফল পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন’ শীর্ষক গবেষণায় ১ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত ৩০ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের বয়স ছিল ২১ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে। যাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী। আর তাদের মধ্যে অর্ধেক গ্রামের, বাকি অর্ধেক শহরের বাসিন্দা।

গবেষণায় দেখা যায়, চট্টগ্রামে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ চলছে। গবেষক ও চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে রোগীর অবস্থার দ্রুত অবনতির পাশাপাশি মৃত্যুর হারও বাড়ছে। তবে এদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে সংক্রমণ বাড়ছে।

গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন সিভাসু উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ। তিনি বলেন, গবেষণার জন্য সংগৃহীত ৩০টি নমুনার মধ্যে ২৮টি ডেল্টা ধরন হিসেবে শনাক্ত হয়, যা মোট নমুনার ৯৩ শতাংশ। বাকি দুটি নমুনার মধ্যে একটি আলফা (যুক্তরাজ্য) ধরন। অপরটি চীনের উহানে শনাক্ত ধরন।

তিনি আরও বলেন, এটি অতি উচ্চ সংক্রমণশীল ধরন। এই ধরনের উৎস ভারত। বাংলাদেশে প্রথমে সীমান্তবর্তী জেলায় ডেল্টা সংক্রমণ হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। এখন দেশে ধরনটির দাপট চলছে।

পোলট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টারের সহযোগিতায় গবেষণা পরিচালিত হয়। যেখানে প্রধান গবেষক ছিলেন অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস। এছাড়া সিভাসুর অধ্যাপক শারমিন চৌধুরী, চিকিৎসক ইফতখোর আহমেদ, ত্রিদিব দাশ, প্রনেশ দত্ত, মো. সিরাজুল ইসলাম ও তানভীর আহমদ নিজামী গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন।

গবেষকেরা জানান, প্রথমে তারা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করেন। এই কাজে সহায়তা করেন  বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) পরীক্ষাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সেলিম খান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোরশেদ হাসান সরকার।

গবেষকরা জানান, ডেল্টায় তরুণ, যুবক, প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সবাইকে হাসপাতালে যেতে হয় নি। আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আর বাকি সবাই বাসায় চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৯ জনের বয়স পঞ্চাশের বেশি।

গবেষকরা জানান, সীমান্তবর্তী জেলার পর প্রথম ঢাকায় এই ধরনের উপিস্থিতি পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই মাসে গোটা দেশে ডেল্টার প্রকোপ ছিল। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো চট্টগ্রামে এখনও এটি চোখ রাঙাচ্ছে। প্রতিনিয়ত এর সংক্রমণ বেছেই চলেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply