আট বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় মাওলানা ইয়াহিয়া নামের ওই শিক্ষককে তার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি মাদ্রাসা থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। তাঁরা প্রথমে মামলা করতে রাজি না হলেও পরে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়। এই মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে তাকে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মাদ্রাসাটিতে আট বছর বয়সী এক শিশুকে বেধড়ক পেটান ওই শিক্ষক। তাকে মারধরের ঘটনাটির ভিডিও সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হেফজ বিভাগের শিশুটিকে দেখতে তার বাবা-মা মাদ্রাসায় আসেন। অভিভাবক চলে যাওয়ার পর শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন ওই শিক্ষক।
এ মারধরের ঘটনাটির ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।
এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন সেই মাদ্রাসায় যান। এছাড়া শিশুটির মা-বাবাকেও খবর দেওয়া হয়।
ইউএনও রুহুল গণমাধ্যমকে জানান, তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষক, মাদ্রাসার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন। আর অভিযুক্ত শিক্ষককে সাথে সাথেই বহিষ্কারের আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাটহাজারীর কোনো মাদ্রাসায় তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।