fbpx
BBS_AD_BBSBAN
৩০শে নভেম্বর ২০২৩ | ১৫ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ | পরীক্ষামূলক প্রকাশনা

ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘তোমাকেই বলে দেবো, কী যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরাণ পথে… ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া…’ এই কান্নার রঙ ছুঁয়ে, জোছনার ছায়া ছুঁয়ে সঞ্জীব চৌধুরী আজও বেঁচে আছেন তার লাখো ভক্তের হৃদয়ে।

সঞ্জীব চৌধুরী একাধারে ছিলেন গীতিকার, সুরকার এবং গায়ক। কিন্তু এই অনন্য প্রতিভা অকালেই দলছুট হন ২০০৭ সালে। আজ ১৯ নভেম্বর তাঁর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।

ছুঁয়ে কান্নার রঙ ছুঁয়ে জোছনার ছায়া

ব্যতিক্রমী অসংখ্য গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতা ভক্তদের। আর এসব গানের জন্যই তিনি কিংবদন্তী।

‘বায়োস্কোপের নেশা আমায় ছাড়ে না’, ‘ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিলো চাঁদ’, ‘চোখ তখন ছিলো ভীষণ অন্ধকার’, ‘রিকশা’, ‘কথা বলব না’, ‘কালা পাখি’, ‘সমুদ্র সন্তান’ এমন অসখ্য গানের স্রষ্টা তিনি। আজও নতুন প্রজন্মের মুখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, কনসার্টে ঘুরে ঘুরে পরিবেশিত হয় এসব গান।

‘শংখচিল’ নামের একটি দলে তাঁর সঙ্গীতচর্চা শুরু হয়। ফোক গানের প্রতি তাঁর ছিলো অন্যরকম দুর্বলতা। নিজের মৌলিক গানের পাশাপাশি কিছু ফোক গান গেয়েছিলেন এবং সেগুলোকে নতুন মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে ‘দলছুট’ নামে গানের দল গড়ে তোলেন। গানের পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন তিনি। তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থের নাম ‘রাশপ্রিন্ট’। সঞ্জীব চৌধুরী বেশকিছু ছোট গল্প এবং কিছু নাটকের স্ক্রিপ্টও লিখেছিলেন। তাঁর অভিনীত একমাত্র নাটক ‘সুখের লাগিয়া’।

তিনি পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তার জন্ম। পৈতৃক নিবাস বিশ্বনাথ উপজেলার দাশঘর গ্রামে।

সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রিয় মানুষেরা, ভক্তরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে তাঁকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর ভক্ত, অনুরাগীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। কেউ কেউ তাঁকে নিয়ে লিখছে স্মৃতিকথা।

ক্ষণজন্মা এই কিংবদন্তীর মৃত্যু নেই। তিনি বেঁচে আছেন আমাদের অন্তরে, থাকবেন আজীবন। তাঁর গানই বাঁচিয়ে রাখবে তাঁকে যুগ যুগ ধরে।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply