স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “আমাদের জনসংখ্যার যারা ১৮ বছরের নিচে, তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না, যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি। ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবেন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি।”
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, “আমাদের যে ওষুধের ল্যাব আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। সেই অনুমোদনের ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সে ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে।”
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। আর যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে, সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। জনসংখ্যার যে অংশ বাকি থাকবে, তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত
ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শনের সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।