এ বেদনার সত্য গল্প উত্তরের কুড়িগ্রামের। সেখানের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবস গ্রামে বাস ষাটোর্দ্ধ দুই দিনমজুর নূর ইসলাম ও আব্দুল জব্বারের। নিজেদের জমি নেই। বলদও নেই। কিন্তু সংসার তো বাঁচাতে হবে। বেঁচে থাকা তখন জীবনযুদ্ধই।
পেটের দায়ে অন্যের জমিতে লাঙ্গল দেন বৃদ্ধ এই নূর ইসলাম (৬৫) ও আব্দুল জব্বার(৭০)। এ কাজেই আসে সামান্য টাকা। আর তাতেই পরিবারের কপালে জোটে খাবার। বৃদ্ধ শরীরে অবসাদ। তবু তাঁরা মাঠে নামেন ভোরে। উপায় কী? নইলে অভুক্ততই থাকতে হবে পরিবারকে।
গত মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় এই দুই বৃদ্ধের জীবন সংগ্রাম।
বৃদ্ধ আব্দুল জব্বার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কাজ করলে টাকা পাবো। না হলে খাবার জুটবে না। তাই দিনমজুর হিসাবে আলুর খেতে লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ করি। দিনে পাই ৩০০ টাকা। পরিবারের ভাতের জন্য চাল কিনি এ টাকায়।
আরেক বৃদ্ধ নূর ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা নিজেরাই ঘাড়ে করে লাঙ্গল টানি। কাজ না করলে খাবো কী? পরিবারকে কী খাওয়াবো? তাই এই কাজ করি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন এই আধুনিক যুগে হাল চাষ তো হয় না। তারপরও আমরা বিষয়টির খোঁজ নেব।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুই বৃদ্ধ অভাবের কারণে কাজে এসেছেন। এ বয়সে তাদের দিয়ে লাঙ্গল টানানো অমানবিক কাজ।