fbpx
BBS_AD_BBSBAN
১লা ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ | পরীক্ষামূলক প্রকাশনা

জাকারবার্গ বনাম বাংলাদেশের এস কে শামসুল ইসলাম, মামলার শুনানি ১৪ ডিসেম্বর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে ৫১ কোটি টাকা দাবি করেছেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। তার নাম এস কে শামসুল ইসলাম। অন্যদিকে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন। এস কে শামসুল ইসলাম পেশায় একজন ডিস ব্যবসায়ী। এ বিবাদ গড়িয়েছে আদালত অবধি।

জানা গেছে, ফেসবুক ডটকম ডট বিডি নামে ডোমেইন নিবন্ধন করার অভিযোগে গত ২২ নভেম্বর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ঢাকার জেলা জজ আদালতে মামলা করেছে ফেসবুক। এ–ওয়ান সফটওয়্যার লিমিটেড ও এস কে শামসুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলা ঠুকেছে ফেসবুক।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, এই মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে ফেসবুক। একইসঙ্গে এ–ওয়ান সফটওয়্যার লিমিটেডের নামে ফেসবুক ডটকম ডট বিডির নিবন্ধন বাতিল চাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ডোমেইন যাতে বিবাদীরা হস্তান্তর করতে না পারেন, সে জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও চেয়েছে ফেসবুক।

চলতি মাসের ১ তারিখ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হলেও সেটি পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়। ফেসবুকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নিয়োগ পাওয়া প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মামলা করেছেন এবং সেটি পরিচালনাও করছেন।

এই আইনজীবী বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর থেকে ফেসবুক ডটকম নামটি নিবন্ধন করায়। পরবর্তী ফেসবুক ডট কম ডট বিডি ডোমেইনের জন্য ২০১৬ সালে বিটিআরসিতে আবেদনও করে।

কিন্ত এস কে শামসুল ইসলাম ২০১০ সালে ফেসবুক ডটকম ডট বিডি নামে একটি ডোমেইন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। পরে তিনি ফেসবুক ডটকম ডট বিডি নামের ডোমেইনটি বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপনও দেন। যার দাম ধরা হয় ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫১ কোটি টাকা।

জাকারবার্গ বনাম বাংলাদেশের এস কে শামসুল ইসলাম, মামলার শুনানি ১৪ ডিসেম্বর

ইন্টারনেটে ফেসবুক ডট কম ডট বিডি’র ডমেইন বিক্রির বিজ্ঞাপন। ছবি : সংগৃহীত

এদিকে ২০১৬ সালের শেষ দিকে বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে তারা ডোমেইনটি বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিশও পাঠায়। তবে তা বন্ধ করা হয়নি। পরবর্তীতে ফেসবুক বাধ্য হয়ে মামলা করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply